রহমত ডেস্ক 20 August, 2022 03:37 PM
ভরা মৌসুমে শ্রমিক আন্দোলনে বাগান থেকে চাপাতা সংগ্রহ বন্ধ। এতে কেবল মৌলভীবাজারেই ৩১ কোটি টাকার চা পাতা গাছে নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে উৎপাদন বিপর্যয়ের শঙ্কায় রয়েছেন বাগান মালিক ও কর্মকর্তারা।
গত ৯ আগস্ট থেকে শ্রমিক আন্দোলনে মৌলভীবাজারের সব চা-বাগানে পাতা সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। ভরা মৌসুমে পাতা না ছেঁড়ায় তা আগাছার মতো লম্বা হয়ে গেছে। নিয়মানুযায়ী, টানা সাত দিন চা-বাগানের প্রতিটা সেকশন ঘুরে ঘুরে পাতা উত্তোলন করা হয়। এরই মধ্যে পাতা উত্তোলন কাজ অনেক পিছিয়ে পড়েছে। বাগান কর্তৃপক্ষ জানায়, কর্মবিরতিকালে জেলায় ৬৪ লাখ ৭৪ হাজার কেজি পাতা গাছেই নষ্ট হয়েছে। টাকার হিসাবে যার পরিমাণ প্রায় ৩১ কোটি টাকা।
জেলার এক চা-বাগান ব্যবস্থাপক বলেন, ‘১০ দিন বাগান বন্ধ থাকার পর দেখা গেছে, গাছের পাতাগুলো অনেক বেড়ে গেছে। এ পাতা দিয়ে ভালো চা হবে না। তার জন্য আমাদের এ গাছের পাতাগুলো কেটে ফেলতে হবে। ধর্মঘট যদি চলমান থাকে, তাহলে এটি দেশের চা-শিল্পের জন্য অশনিসংকেত।’
মানসম্পন্ন চা উৎপাদন করতে হলে এখন গাছের ওপরের পাতা ছেঁটে অপেক্ষা করতে হবে। নতুন কুঁড়ি এলে সেগুলো হবে চা তৈরির কাঁচামাল। তবে ততদিন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে গেলে মৌসুম শেষ হয়ে যাবে। তাই এ বছর চা-শিল্পে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা সংশ্লিষ্টদের।
মৌলভীবাজার চা-বাগানের এজিএম শাহনেওয়াজ মো. আহসান ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা যদি ওই পাতা দিয়ে চা তৈরি করি, তাহলে ভালো চা হবে না। আর সবচেয়ে বড় ক্ষতি যেটি হয়েছে, সেটি হলো আমরা আমাদের পুরো প্লাকিং রাউন্ড থেকে পিছিয়ে গেছি।’
সামগ্রিকভাবে চা-শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হবে জানিয়ে শ্রীমঙ্গলের এম আর খান চা-বাগানের পরিচালক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘ধর্মঘটের কারণে চা-শিল্পের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে। এই ক্ষতি শুধু আমাদের নয়। যেহেতু শ্রমিকরা কাজ করছেন না, তারাও এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’
উল্লেখ্য, চা বোর্ডের দেয়া তথ্যমতে, চলতি বছর দেশের ২৪১টি চা-বাগানে ৯ কোটি ৭০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: সিলেট মৌলভীবাজার মৌলভীবাজার সদর