| |
               

মূল পাতা জাতীয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি আলেমদের নিয়োগ দিতে ধর্ম উপদেষ্টার চিঠি


প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কওমি আলেমদের নিয়োগ দিতে ধর্ম উপদেষ্টার চিঠি


রহমত নিউজ     13 October, 2025     07:25 PM    


কওমি মাদরাসা পড়ে দাওরায়ে হাদিস সনদ অর্জনকারী আলেমদের দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টার কাছে তিনি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিষয়টি বর্তমানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা।

সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ধর্ম উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, 'যে সমস্ত কওমি মাদরাসার ছাত্রের দাওরায়ে হাদিসের সনদ আছে, যেটা বিগত সরকার এমএ অ্যারাবিক ও এমএ ইসলামিক স্টাডিজের সমমর্যাদা দিয়েছিল, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হিসেবে তাদের নিয়োগ দিলে তারা ধর্ম, বাংলা- এগুলো খুব ভালো করে পড়াতে পারবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়কে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়ার উদ্যোগ নিতে আমি আধা সরকারি পত্র দিয়েছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে।'

তিনি আরও জানান, হেফাজতে ইসলাম যে দাবি করেছে- প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত শিক্ষকের বদলে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি- তা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পর্যালোচনা করছে।

এক প্রশ্নের জবাবে ড. খালিদ হোসেন বলেন, 'প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোন কোন সাবজেক্টভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ হবে, সেটা ধর্ম মন্ত্রণালয়ের আওতায় নয়, এটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায়। তবে হেফাজতে ইসলামের নেতারা যে দাবি করছেন, সেটা আমি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে জানিয়েছি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি যে এটা নিয়ে আলোচনা হওয়া দরকার। যেহেতু হেফাজতে ইসলামসহ আলেম-ওলামাদের পক্ষ থেকে সংগীতকে সাবজেক্ট হিসেবে ইনক্লুড করা নিয়ে আপত্তি আছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা আমাকে জানিয়েছেন, ধর্মীয় শিক্ষক নামে বিদ্যালয়ের কোনো পদ নেই। সহকারী শিক্ষকরাই বাংলা, ইংরেজি, গণিত, সমাজ ও ধর্ম এগুলো পড়ান।'

ধর্ম উপদেষ্টা আরও বলেন, 'প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধর্ম শিক্ষার ক্লাস এরই মধ্যে বাড়ানো হয়েছে। এ বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে একটা ডিও লেটার (আধা-সরকারি পত্র) ৬/৭ মাস আগে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে দেওয়া হয়েছিল।'

তিনি আরও যোগ করেন, 'প্রাথমিক গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় হেফাজতের আপত্তি পর্যালোচনার মধ্যে রেখেছে। হেফাজতের দাবি ও বিভিন্ন ইসলামিক দলের দাবির ভিত্তিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিবেচনা করছে। সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিল হবে কি না- সেটিও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে।'