| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ভারতের কেরালায় হিজাব পরার কারণে মুসলিম ছাত্রীকে স্কুলে প্রবেশে বাধা


ভারতের কেরালায় হিজাব পরার কারণে মুসলিম ছাত্রীকে স্কুলে প্রবেশে বাধা


শেখ আশরাফুল ইসলাম     19 October, 2025     02:14 PM    


ভারতের কেরালার এক মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরার কারণে স্কুলে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এ ঘটনায় রাজ্য সরকার ছাত্রীটির পাশে দাঁড়িয়েছে।

শনিবার (১৮ অক্টোবর) কেরালার সাধারণ শিক্ষা মন্ত্রী ভি শিবনকুট্টি জানিয়েছেন, ওই মুসলিম মেয়েটিকে অন্য কোনো স্কুলে ভর্তি হতে সরকার প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

মন্ত্রী বলেন, যদি ওই ছাত্রী বা তার পরিবার আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারের কাছে আবেদন করে, তাহলে বিশেষ আদেশ জারি করা হবে। কারণ, এই ঘটনার পর থেকে মেয়েটির বাবা-মা জানিয়েছেন, স্কুলে যেতে মেয়েটি এখন ভয় ও মানসিক চাপ অনুভব করছে। তাই তারা মেয়েকে আর সেই স্কুলে পাঠাতে চান না।

তিনি আরও বলেন, কেরালা এমন এক রাজ্য, যেখানে সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করা হয়। পোশাক বা ভর্তি সংক্রান্ত কোনো কারণে যেন কোনো শিক্ষার্থী শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়। তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষকে মেয়েটির মানসিক কষ্টের জন্য দায়ী করেন এবং বলেন, সরকার তার পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত।

মেয়েটির বাবা জানান, তার মেয়ে এখন আর সেই স্কুলে ফিরতে চায় না। তাই তারা অন্য স্কুলে ভর্তি করানোর চেষ্টা করছেন। 

ঘটনাটি ঘটে কোচির সেন্ট রিটা স্কুলে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি দাবি করে, তাদের নির্দিষ্ট পোশাকবিধিতে (ড্রেস কোডে) হিজাব পরার অনুমতি নেই। এ নিয়ে ১০ অক্টোবর মেয়েটির অভিভাবক ও স্থানীয় কয়েকজন স্কুলের সঙ্গে কথা বলতে গেলে বিরোধ তৈরি হয়। পরে স্কুলটি দুই দিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করে। ঘটনার জেরে কেরালা হাইকোর্ট স্কুলে পুলিশ মোতায়েনের নির্দেশ দেয়।

অন্যদিকে, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোট ইউডিএফ-এর সহযোগী দল ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ (আইইউএমএল) এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রীর অবস্থানকে সমর্থন জানিয়েছে। দলের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক পি. কে. কুনহালিকুট্টি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত চরম অসহিষ্ণুতার উদাহরণ।

তিনি বলেন, কেরালার মতো প্রগতিশীল রাজ্যে এমন ঘটনা দুঃখজনক। কিছু গোষ্ঠী ইচ্ছে করেই এমন বিতর্ক তৈরি করছে। স্কুলের কর্তৃপক্ষের আচরণ তিনি “অগ্রহণযোগ্য ও অসহিষ্ণু” বলে মন্তব্য করেন।

সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ এবং মুসলিম লিগের সমর্থন দেখায়, কেরালা রাজ্য শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার পক্ষে দৃঢ় অবস্থানে আছে। শিক্ষামন্ত্রীর আশ্বাসের ফলে নিশ্চিত হয়েছে—ওই মেয়েটির পড়াশোনা কোনোভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না, বরং সে যেন সহায়ক পরিবেশে শিক্ষা চালিয়ে যেতে পারে, সেই ব্যবস্থা করা হবে। 

সূত্র : মুসলিম মিরর