রহমত নিউজ 16 June, 2024 10:09 PM
আনন্দ ও ত্যাগের মহিমা নিয়ে হাজির পবিত্র ঈদুল আজহা। রাত পোহালেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে উদযাপিত হবে মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় উৎসব। সকালে ঈদের নামায আদায়ের পর সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করবেন মুসল্লিরা। কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী ঈদুল আজহার নামাযের আগে কুরবানি করা বৈধ নয়।
ঈদের দিনের ঈদগাহে গিয়ে ইমামের পিছনে দুই রাকাত নামায আদায় করতে হয়। ঈদের নামায ওয়াজিব।
ঈদুল আজহার দিনে কুরবানি প্রসঙ্গে রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আজকের দিনে আমরা সর্বপ্রথম ঈদের নামায আদায় করব। এরপর সামর্থ্য অনুযায়ী কুরবানি করবো। (বুখারি ৯৬৮)
আরেকটি হাদিসে আছে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন, যেসব মুসলিম পুরুষ জামাতে উপস্থিত হয়ে ঈদের নামায আদায়ের সক্ষমতা রাখেন তাদেরকে ঈদের নামায পড়তে হবে। (বাদায়েউস সানায়ে ১/৬১৭)।
তাই কোরবানির দিন ঈদের নামাযের আগে অন্য কোনও ব্যস্ততা রাখা উচিত নয়। প্রত্যেকের উচিত ফজর থেকে সব রকমের ব্যস্ততা যেন ঈদের নামায ঘিরেই হয়। এরপরও যদি কোনো কারণে ঈদের নামাযের এক বা দুই রাকাত ছুটে যায়, তখন করণীয় কী? ছুটে যাওয়া নামাজ কীভাবে আদায় করবেন?
কেউ যদি প্রথম রাকাতে ইমামের কেরাত পড়াকালীন নামাজে শরিক হন তাহলে প্রথমে তিনি তাকবিরে তাহরিমা এবং অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলে ইমামের অনুসরণ করবেন। (মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৫৭১৪)
কেউ ইমামকে রুকুতে পেলেন। এখন যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবীরগুলো বলেও ইমামকে রুকুতে ধরতে পারবেন বলে মনে হয়, তাহলে তাই করবেন।
আর যদি দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত তাকবির বলে ইমামকে রুকুতে পাওয়া যাবে না বলে মনে হয়, তাহলে শুধু তাকবিরে তাহরিমা বলে রুকুতে চলে যাবেন। রুকুতে গিয়ে হাত না উঠিয়ে অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। এরপর সময় থাকলে রুকুর তাসবিহ আদায় করবেন। (আলবাহরুর রায়েক: ১/১৬১)
কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতে ইমামের সাথে শরিক হন, তাহলে ইমাম সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে প্রথমে সূরা-কেরাত পড়বেন এবং রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন। অর্থাৎ ছুটে যাওয়া প্রথম রাকাত আদায়ের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাতের মতো রুকুর আগে অতিরিক্ত তাকবির বলবেন। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শাইবা: ৫৮১৩)কেউ যদি দ্বিতীয় রাকাতের রুকুর পর বা তাশাহহুদের পর জামাতে শরীক হন, তার করণীয় কী? এমন ব্যক্তি ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে সূরা কেরাতের আগেই অতিরিক্ত তাকবিরগুলো বলবেন। আর দ্বিতীয় রাকাতের কেরাতের পর অতিরিক্ত তাকবির বলে নামাজ শেষ করবেন। (ফাতাওয়া খানিয়া ১/১৮৫, সূত্র: মাসিক আল কাউসার)