রহমত নিউজ 17 June, 2024 05:16 AM
ত্যাগের আহ্বান নিয়ে হাজির পবিত্র ঈদুল আজহা। আজসারাদেশে উদযাপিত হবে মুসলিম জাহানের সবচেয়ে বড় এই উৎসব। আনন্দ আর খুশিকে ছাপিয়ে এ দিনটিতে বড় বিষয় ত্যাগের শিক্ষা। সামর্থ্যবান মুসলমানরা পরিশুদ্ধি এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য পশু কুরবানি করবেন এদিন। কুরবানির মাধ্যমে সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেকে সমর্পণই ঈদুল আজহার মূল মর্মবাণী।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা আলা বলেন, আমি প্রত্যেক উম্মতের জন্য কুরবানির বিধান নির্ধারণ করে দিয়েছি, যাতে তারা ওই পশুদের জবাই করার সময় আল্লাহর নাম উচ্চারণ করে। আর তোমাদের প্রতিপালক তো এক আল্লাহই, তোমরা তারই অনুগত হও। (সুরা হজ : ৩৪)
সোমবার (১৭ জুন) সকালে সর্বপ্রথম ঈদগাহে নামাজ আদায় করবেন মুসল্লিরা, এরপর শুরু পশু কুরবানির পর্ব।
ধর্মীয় বিধান অনুযায়ী, ঈদের দিন ছাড়াও পরের দু’দিনও পশু কুরবানি করার সুযোগ রয়েছে। সে হিসেবে বুধবার সূর্যাস্ত পর্যন্ত কুরবানি করা যাবে। সামর্থ্যবানদের জন্য কুরবানি করা ফরজ। কুরবানির পশুর মাংসের তিন ভাগের এক ভাগ বিলিয়ে দিতে হয় গরিব-মিসকিনকে। আত্মীয়দের দিতে হয় এক ভাগ।
হাদিসে বর্ণিত আছে, ‘১০, ১১ ও ১২ জিলহজ—এই তিন দিন কুরবানি করা যায়। তবে প্রথম দিন কুরবানি করা অধিক উত্তম। এরপর দ্বিতীয় দিন, তারপর তৃতীয় দিন।’ আরেকটি হাদিসে আছে, জিলহজ্ব মাসের ১২ তারিখ সূর্যাস্তের পর কুরবানি করা শুদ্ধ নয়।
ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, মুসলিম জাতির পিতা হযরত ইবরাহিম (আ.) ও তার পুত্র হযরত ইসমাইল (আ.) এর ঐতিহাসিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কুরবানি ইবাদতের মর্যাদা লাভ করেছে। আল্লাহ যখন ইবরাহিম (আ.)-কে পরীক্ষা করার জন্য স্বীয় পুত্রকে কুরবানি করতে বললেন, তখন সঙ্গে সঙ্গে কোনো সংশয় তথা বিনা প্রশ্নে নিজ প্রিয় সন্তানকে কুরবানি করার জন্য প্রস্তুত হয়ে যান তিনি। কিন্তু এসময় আল্লাহর আদেশে দুম্বা কুরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্রাহিম (আ.)-এর অসামান্য এ ত্যাগের মহিমা জাগ্রত রাখতে সারাবিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় প্রতি বছর জিলহজ্ব মাসের ১০ তারিখে পশু কুরবানি করেন।