মূল পাতা রাজনীতি আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার সমকক্ষ কেউ নেই : ওবায়দুল কাদের
রহমত নিউজ 28 September, 2023 08:07 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নাকি আমাদের তাড়িয়ে দেবে কয়েকদিনের মধ্যে। আমরা অক্টোবরে আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকবো। কি কারণে ক্ষমতা ছেড়ে দেবো? কি কারণে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আবার পুনর্জীবিত করব? কেন শেখ হাসিনাকে সরে যেতে হবে? জনগণ তাকে চায়, বিকল্প ভাবে না। সংকটে দেশকে নেতৃত্ব দেয়ার মতো তার সমকক্ষ কেউ নেই। বিশ্ব বিবেকের কাছে প্রশ্ন-তার চেয়ে যোগ্য বিকল্প প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে কেউ আছে?
আজ (২৮ সেপ্টেম্বর) বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির প্রথম সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদ, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. সাত্তার মন্ডল, ড. বজলুল হক খন্দকার, ড. শামসুল আলম, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও ডা. দীপু মনি, শেখর দত্ত, ড. মাকসুদ কামাল, ড. মাহফুজুর রহমান, অধ্যাপক সাদেকা হালিম, সাজ্জাদুল হাসান এমপি, অ্যাডভোকেট তারানা হালিম, ওয়াসিকা আয়েশা খান, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, জুনায়েদ আহমেদ পলক, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, অধ্যাপক মোহাম্মদ এ আরাফাত, অ্যাডভোকেট সায়েম খান প্রমুখ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সময়ের সাথে বাস্তবতার আলোকে আগামী নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করা হবে। ইশতেহার পড়ে কজন? সেটা খেয়াল রেখে করতে হবে। বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। ঢাউস কিতাব বা বিশাল বই পড়ার সময় কারো নেই। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে।বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চলতে হবে। সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। ঢাউস বা মোটা ইশতেহারের দরকার নেই। মোটা পুস্তক প্রণয়নের দরকার নেই। কারণ বেশি কথা পড়ার সময় কম। অল্প কথার মধ্যে নির্বাচনী ইশতেহার তৈরি করতে হবে। আমাদেরও অ্যাকশনে যেতে হবে। এমন ইশতেহার করতে হবে, যাতে নিষেধাজ্ঞা, পাল্টা নিষেধাজ্ঞার বিষয় ভাবতে হবে। জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব ভাবতে হবে। ২০২৬ সাল, উন্নয়ন শীল দেশে উত্তরণ। সর্বোপরি ২০৪০ সাল আমাদের মাথায় রাখতে হবে। ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে, এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচনকালীন মন্ত্রীসভার আকার ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী। এটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। নির্বাচনকালীন সরকার শুধু রুটিন ওয়ার্ক হবে। মেজর পলিসি গ্রহণ করবে না। এটা নতুন কিছু নয়, পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মত রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। মেজর পলিসি থাকবে না। আমরা আমাদের নিয়মে চলবো। আমাদের হুমকি দিয়ে লাভ নেই। সামনের নির্বাচন আমরা ফ্রি, ফেয়ার করব। এর বাইরে আমাদের কোনো চিন্তা নেই। যা করব সংবিধান অনুযায়ী। কে নির্বাচনে এলো কে এলো না, এটা আমাদের বিষয় নয়। কে কারে নিষেধাজ্ঞা দিল এটা আমাদের বিষয় নয়। আমরাতো নির্বাচন করতে চাই। যারা বাধা দেবে তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা, হুমকি দিন। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে এত মাথা ঘামাচ্ছেন? দুষ্টু ছেলে ইজরায়েলকে থামাতে পারেন না, হাইতির গান ভায়োলেন্স থামাতে পারেন না?