| |
               

মূল পাতা ইসলাম জুমার বয়ান মুমিন হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত রাসূলুল্লাহর প্রতি ঈমান আনা


মুমিন হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত রাসূলুল্লাহর প্রতি ঈমান আনা


রহমত নিউজ ডেস্ক     04 November, 2022     09:15 PM    


মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেছেন, মুমিন হওয়ার অন্যতম প্রধান শর্ত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান আনা। কেউ যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান না আনে, সে মুমিন নয়। তাই আল্লাহর প্রতি যেমন ঈমান আনতে হবে, ঠিক তেমনই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিও ঈমান আনতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতি ঈমান আনার অর্থ হল, তিনি আল্লাহর প্রেরিত সর্বশেষ নবী ও রাসূল। এটা বিশ্বাস করা এবং সাক্ষ্য দেয়া।আজ (৪ নভেম্বর) শুক্রবার ঢাকার মিরপুরের বাইতুল আমান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের জুমার খুতবা পূর্ব বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।

মুফতি আবদুল্লাহ ফিরোজী বলেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন, মুহাম্মাদ তোমাদের কোনো পুরুষের পিতা নন; তবে তিনি আল্লাহর রাসূল এবং নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ। আল্লাহ সর্ববিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞাত। (সূরা আহযাব-৪০)। স্বয়ং রাসূলে কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি সর্বশেষ নবী। আমার পর কোনো নবী নেই। (বুখারী, হাদীস নং- ৩৫৩৫)। সুতরাং রাসূলুল্লাহর পর কেউ যদি নিজেকে নবী দাবি করে, সে মিথ্যাবাদী এবং কাফের। তেমনিভাবে যারা এই মিথ্যানবীকে নবী বা মুজাদ্দিদ, মাহদী বা মাসীহ কিংবা তার অনুরূপ, অথবা ঈমানদার নেককার মনে করবে তারাও কাফের। মুমিনের দায়িত্ব হচ্ছে, নবীজির প্রতি পূর্ণ আস্থা ও ভালোবাসা রাখা। তার সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা। অবমাননা তো দূরের কথা; শুধু তার সামান্য অসম্মান বা কষ্টের কারণ হয়, এমন সব কথা ও আচরণ থেকে বিরত থাকা। তার প্রতি অবতীর্ণ কোরআনকে সর্বশেষ ওহী-গ্রন্থ হিসাবে মেনে নেয়া। তার শরীয়তকে আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশেষ ইসলামী শরীয়ত হিসাবে গ্রহণ করা।

খতিব বলেন, রাসূলের প্রতি ঈমান আনার অর্থ এটাও বিশ্বাস করা যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে আল্লাহ তায়ালা যেসকল দায়িত্ব দিয়ে পাঠিয়েছেন সেগুলোর প্রত্যেকটি তিনি যথাযথ আদায় করেছেন। তার সে দায়িত্বগুলোর বিবরণ কোরআন মাজীদের বিভিন্ন স্থানে বর্ণিত হয়েছে। এই সকল দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি যা করেছেন এবং যা বলেছেন সবকিছু বিশ্বাস করা এবং মনেপ্রাণে মেনে নেয়া তার প্রতি ঈমানের অংশ। তিনি আল্লাহ প্রদত্ত এইসব দায়িত্ব পালনার্থে যা বলেছেন বা করেছেন সেটাই হাদীস ও সুন্নাহ। কোরআনের ভাষায় ‘হিকমাহ’ ও ‘উসওয়ায়ে হাসানাহ’। সেটা গ্রহণ ও অনুসরণ করাকে কোরআন ফরজ করেছে এবং মান্য করাকে ঈমানের শর্ত সাব্যস্ত করেছে। সুতরাং যদি কেউ বলে, কোরআন মানি, হাদীস মানি না, তবে সে ঈমানের গ-ির বাইরে চলে যাবে। কারণ হাদীস অস্বীকারের অর্থই হচ্ছে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে অবমাননা করা। হাদীস অস্বীকারকারী এসব নব্য আহলে কোরআনের প্রতারণার ব্যাপারে হুঁশিয়ার থাকতে হবে। তাদের কুফরী চিন্তা-ধারার প্রচার-প্রসার এখন আমাদের দেশে, এমনকি আমাদের রাজধানীতেই চলছে। এটা রুখতে প্রয়োজন সতর্কতা ও বিচক্ষণতা। মুমিনের জন্য ঈমান সবচেয়ে বড় সম্পদ। এই সম্পদ হেফাজত করা ফরজ। মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে আমল করার তৌফিক দান করেন, আমীন।