| |
               

মূল পাতা জাতীয় সরকার শেখ রাসেল হৃদয়ের গভীরে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে : পরিবেশমন্ত্রী


শেখ রাসেল হৃদয়ের গভীরে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে : পরিবেশমন্ত্রী


রহমত নিউজ     18 October, 2022     05:17 PM    


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র ঘাতকের হাতে নির্মমভাবে নিহত শেখ রাসেল হৃদয়ের গভীরে চিরভাস্বর হয়ে থাকবে। মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত শক্তি আর দেশি-বিদেশি অপশক্তির ষড়যন্ত্রে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে বিশ্বের ইতিহাসের বর্বর ও নৃশংসতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। শিশু শেখ রাসেলও রক্ষা পাননি এ হত্যাকাণ্ড থেকে। রাষ্ট্রও সেদিন হত্যাকারীদের পাশে দাঁড়ায়। এ নৃশংসতম ঘটনায় জাতি হিসেবে আমরা ডুবলাম আকণ্ঠ লজ্জায়। ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রাবস্থায় মাত্র ১১ বছর বয়সে শহিদ হন শেখ রাসেল। স্বল্পস্থায়ী জীবনের অধিকারী হলেও তার আতিথেয়তা, পরোপকার, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং মানবীয় গুণাবলির জন্য সে মৃত্যুঞ্জয়ী হয়ে রবে।

আজ (১৮ অক্টোবর) মঙ্গলবার শেখ রাসেলের জন্মদিন ‘শেখ রাসেল দিবস ২০২২’ উপলক্ষে ‘শেখ রাসেল নির্মলতার প্রতীক দুরন্ত প্রাণবন্ত নির্ভীক’ প্রতিপাদ্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় কর্তৃক বন অধিদপ্তরে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে মন্ত্রী বন অধিদপ্তরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু ও শহিদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। অনুষ্ঠানে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে বন অধিদপ্তর ও পরিবেশ অধিদপ্তর আয়োজিত চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। দোয়া মাহফিলে শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের সব শহিদের রুহের শান্তি কামনা করা হয়। দোয়া মাহফিলের পর বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট কর্তৃক উদ্ধার করা বিভিন্ন প্রজাতির পাখি অবমুক্ত করেন মন্ত্রী। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আব্দুল হামিদ ও বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

পরিবেশমন্ত্রী বলেন, হত্যাকারীরা জানতো বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা যতদিন এ দেশের মাটিতে থাকবে ততদিন বাংলাদেশকে ঘিরে কোনো কুপরিকল্পনাই তারা বাস্তবায়ন করতে পারবে না। তাই তারা বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারাকে চিরতরে স্তব্ধ করতে চেয়েছিল। আর এ কারণেই শিশু রাসেলকে হত্যা করতেও বিন্দুমাত্র বিলম্ব করেনি। ষড়যন্ত্রকারীদের সব আশঙ্কাকে সত্যি করে বঙ্গবন্ধুর  রক্তের ধারার হাত ধরেই আজ বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বের চোখে উন্নয়নের রোল মডেল। বাবা-মা ও ভাই-ভাবিকে হারানোর শোক আত্মস্থ করে সারাদেশের মানুষকেই পরিবার করে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে হত্যার রাজনীতি বন্ধে আপসহীনভাবে কাজ করছে। ইতিহাসের কী নির্মম প্রতিশোধ, দেশি-বিদেশি দীর্ঘ চক্রান্ত ছিন্ন করে বঙ্গবন্ধুকন্যার সময়েই ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ডের বিচারিক কাজ শেষ হয়। হত্যাকারীদের সাজা কার্যকর করার কাজ আংশিক সম্পন্ন হয়েছে। সাজা পুরোপুর কার্যকর করার মধ্য দিয়েই এর সমাপ্তি হবে। আমাদের সরকার এমন একটি রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চায় যেখানে বিচারহীনতার সংস্কৃতি থাকবে না। এরূপ নৃশংস হত্যাকাণ্ড সংগঠনের দুঃসাহস কেউ দেখাবে না।