দাম বাড়লেই সরকারের সমালোচনা করা যাবে না : বাণিজ্য সচিব

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেছেন, শুধু বাজার সুবিধা থাকলে হবে না, যখন আমরা পণ্যের মান ঠিক রেখে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে বাজার পরিচালনা করতে যাই, তখন দাম বাড়তে পারে। এটা ভোক্তাদের বুঝতে হবে। একটা পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে আমাদের সবদিকে নজর রাখতে হয়। অনেক সময় পণ্য আসতে দীর্ঘসময় লাগে। এই সময়ের মধ্যে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমে যায়। তখন চাইলেও হুট করে কমানো যায় না। এজন্য দাম বাড়লেই অনেকে অনেক কথা বলেন, সরকারের সমালোচনা করেন। দাম বাড়লেই কিন্তু সরকারের সমালোচনা করা যাবে না।

আজ (২৯ জুন) বুধবার কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ক্যাবের ভার্চুয়াল জেলা, উপজেলা প্রতিনিধি সম্মেলন-২০২২ ও ক্যাবের ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘ভোক্তাকণ্ঠ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান, নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা, ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ডা. মো. শাহনেওয়াজ চৌধুরী ও ভোক্তাকণ্ঠের সম্পাদক কাজী আব্দুল হান্নান প্রমুখ।

তপন কান্তি ঘোষ বলেন, বাজারমূল্য ও পণ্যমান দুটি বিবেচনায় রেখে ভোক্তাদের প্রতিক্রিয়া সরকারের কাম্য।  দাম বাড়লেই দেখি অনেকে সরকারের সমালোচনা করেন। আমাদের আমদানি নির্ভর বাজারে অনেক কিছু বিবেচনা করেই পণ্যের দাম নির্ধারণ হয়। ভোক্তারা সবসময় দামে কম কিন্তু মানে ভালো পণ্য চান। দুটো সবসময় একসঙ্গে হয় না। পণ্যের দাম বাড়লেই সরকারের সমালোচনা করে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করার ক্ষেত্রে আরো দায়িত্বশীল হওয়ার জন্য ভোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, ভোক্তা অধিকার শক্তিশালীকরণ একটি ব্যাপক ধারণা। এটির আইন আছে, অধিদপ্তর আছে। তারা নিয়ন্ত্রণমূলক কাজ করছে। একটা ঘটনা ঘটে গেলে তা ব্যবস্থা নেয়। কিন্তু ভোক্তা অধিকার হচ্ছে এমন, যেসব বিষয় আমাদের ভোক্তাদের ওপর প্রভাব পড়ে সেগুলোর দিকে নজর রাখা। এজন্য আমাদের আরও ব্যাপক কাজ করতে হবে। যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা ভেজাল না দেন, মূল্য সঠিক রাখেন। তাহলে তো এসব অধিদফতরকে কাজ করতে হয় না।