রহমত ডেস্ক 26 March, 2022 05:38 PM
দখল হওয়া জমি উদ্ধার করে ৩০ তলা ভবন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, অনুষ্ঠানে এসে জানতে পারলাম লালবাগে বধিরদের বেশ কিছু (এক একর) জমি বেদখল হয়ে গেছে। বিজয়নগরের বধিরদের জায়গাও বেদখল করার চেষ্টা হচ্ছে নানাভাবে। কীভাবে বধিরদের জমি দখল করে একটু মাখন খাওয়া যায় এ পরিকল্পনা হচ্ছে। পরিষ্কার বলতে চাই, আমাদের সরকার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সরকার, শেখ হাসিনার সরকার দুর্বল মানুষের সরকার। বর্তমান সরকার আইনের সরকার। লালবাগের জমির কাগজ আমি দেখেছি । এ জমি দখলমুক্ত করব। আমি সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার (প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব) সঙ্গে কথা বলব। এছাড়া জমি উদ্ধারের জন্য ঢাকার ডিসিকে বলা হয়েছে। এখানে বাজার সৃষ্টি করা হয়েছে এবং মামলাও নাকি আছে। আওয়ামী লীগ সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাসী। আমরা আইন মানি গায়ের জোরে কোনো কিছু করি না। আইনের মাধ্যমে শিগগিরই লালবাগের জমি মূল মালিকের (বধির) কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
আজ (২৬ মার্চ) শনিবার ঢাকার বিজয়নগরে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা এবং শ্রবণ, বাক প্রতিবন্ধী মানুষের মধ্যে অনুদান ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ আশ্বাস দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, জাতীয় বধির সংস্থার সাধারণ সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস খান রিপন প্রমুখ।
উপস্থিতদের উদ্দেশেপরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ জায়গায় আপনারা বললেন ৩০ তলা, ২৫ তলা বিল্ডিং করবেন। সেজন্য আপনারা প্রকল্প তৈরি করতে চান। সরকার এটা করে দেবে। এটা সরকারের জন্য এমন বড় কিছু নয় কারণ হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প আমরা তৈরি করছি। এখানে ৩০০ কোটি অথবা ৪০০ কোটি টাকা লাগবে এটা শেখ হাসিনার জন্য বড় কিছু নয়। বিজয়নগরে বধিরদের এ জায়গায় ব্যক্তিগত কারণে অনেকবার এসেছি। এখানে হেঁটে ঘোরাফেরা করেছি, আড্ডা দিয়েছি। বধিরদের এ স্কুলের সঙ্গে পরিচয় আছে আগে থেকেই। আমি শুনে কষ্ট পেলাম বধিরদের জমি দখল হয়েছে। এটা আমি হতে দেব না।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম লালবাগে বাংলাদেশ জাতীয় বধির সংস্থার এক একর জায়গা দখল করে রেখেছেন— এমনটাই দাবি করে জাতীয় বধির সংস্থার সভাপতি শাহাদাৎ আলম হারু চৌধুরী বলেছেন, লালবাগের এমপি হাজী সেলিম বাংলাদেশ বধির সংস্থার এক একর জমি দখল করে নিয়েছেন। হাজী সেলিমের কাছ থেকে দুবার দখল মুক্ত করেছি। তারপরও আবারও জমি দখল করে নিয়েছেন হাজী সেলিম। ২০১৬ ও ১৭ সালে দুবার দখল মুক্ত নিয়েছিলাম। বধির ভাই-বোনদের কল্যাণে আমরা জমিটা দখলমুক্ত করে বহুতল ভবন নির্মাণ করতে চাই