মরে যাব, তবুও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না : চবি উপাচার্য

সম্প্রতি ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে শিক্ষকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগে অর্থ লেনদেনের ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার বিষয়টি ষড়যন্ত্র দাবি করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার বলেছেন, আমি সততার সঙ্গে কাজ করার জন্য উপাচার্যের দায়িত্ব নিয়েছি। আমি মরে যাব, তবুও অন্যায়ের সঙ্গে আপস করব না।

আজ (৫ মার্চ) শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চট্টগ্রাম নগরীর চারুকলা ইন্সটিটিউটে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এস এম মনিরুল হাসান, প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া এবং সহকারী প্রক্টরবৃন্দ। এর আগে, গত ৩ মার্চ ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপগুলোতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির পদে ১২ লাখ, চতুর্থ শ্রেণি পদে ৮ লাখ, অফিসার পদে ১৫ লাখ ও শিক্ষক নিয়োগে ১৬ লাখ টাকার উপরে লেনদেন হয় বলে উঠে আসে।

চবি উপাচার্য বলেন, আমাদের নিয়োগ বোর্ড সম্পূর্ণ সততা এবং স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছেন। এখানে অর্থ লেনদেনের হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিয়োগ প্রক্রিয়াকে বিতর্কিত করার জন্য একজন ব্যক্তি সুকৌশলে নিয়োগপ্রার্থীদের ফোন করে তা রেকর্ড করেছেন। এটি সম্পূর্ণরূপে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। অপরাধীদের কাউকে প্রশাসন ছাড় দেবে না, অভিযোগ উঠার সঙ্গে সঙ্গে আজকের নিয়োগ বোর্ডের সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণরুপে বাতিল করা হয়েছে। সিন্ডিকেট স্বচ্ছতা, নিরপেক্ষতা, এবং সততার স্বার্থে এটি করা হয়েছে। এছাড়া ঘটনার তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চার সদস্যের তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী মূলহোতাদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হবে।