| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক ‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক দস্যুতায়’ লিপ্ত’


‘পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক দস্যুতায়’ লিপ্ত’


আন্তর্জাতিক ডেস্ক     05 March, 2022     08:59 PM    


ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার মাধ্যমে পশ্চিমারা দস্যুদের মতো আচরণ করছে।যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের চেয়েও বিশ্ব অনেক বড় এবং রাশিয়া এত বড় দেশ যে তাকে কখনই বিচ্ছিন্ন করে রাখা যাবে না। পশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে ‘অর্থনৈতিক দস্যুতায়’ লিপ্ত হয়েছে এবং মস্কো এর জবাব দেবে। কী ধরনের জবাব দেওয়া হবে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি তিনি। তবে রাশিয়ার স্বার্থ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজ (৫ মার্চ) শনিবার সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব ম বলেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র পেশকভ বলেছেন, এর মানে এই নয় যে রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিশ্ব অনেক বড়, একটি দেশকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ইউরোপ এবং আমেরিকার চেয়েও বড়। এমনকি রাশিয়াও একটি বড় দেশ। বিশ্বে আরো অনেক দেশ আছে। তবে মস্কো এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে সংলাপের চ্যানেল এখনও বিদ্যমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র যদি রাশিয়ার তেল এবং গ্যাসের রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে, তাহলে সেটি বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারকে উল্লেখযোগ্য ধাক্কা দেবে।

পেশকভ বলেন, রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মানের শাস্তি কঠোর করে আইন মানতে হবে। অস্বাভাবিক এক পরিস্থিতিতে জরুরিভাবে আইনটি আনা হয়েছে। কারণ পশ্চিমাদের নজিরবিহীন তথ্য যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছে রাশিয়া। বিদেশি কোম্পানিগুলোকে একদিন রাশিয়ায় ফিরতে হবে। যদিও কেউ কেউ দেখবে তাদের জায়গা অন্য কোনো কোম্পানি নিয়েছে।বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় হওয়ার ইচ্ছা রয়েছে রাশিয়ার। হ্যাঁ, বর্তমান সময়টা একটু কঠিনই। এই সময়ে আমরা বিনিয়োগের জন্য চমকপ্রদ স্থান হওয়ার কথা বলতে না পারলেও ‘সময়’ দ্রুত পাল্টে যাবে।

প্রতিবেশী ইউক্রেনকে অসামরিকায়ন ও নাৎসিমুক্ত করার লক্ষ্যে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে দেশটিতে সামরিক অভিযান শুরু করে রুশ সৈন্যরা। এই অভিযানের জেরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ, বিশেষ করে ইউরোপ এবং আমেরিকা রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঢেউ শুরু হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে ইতোমধ্যে বিশ্বের বড় বড় বিভিন্ন কোম্পানি রাশিয়ার বাজার ছাড়তে শুরু করেছে। রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে অসম্মানের শাস্তি কঠোর করে একটি আইনে স্বাক্ষর করেছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।