রহমত ডেস্ক 26 February, 2022 08:42 PM
নতুন নির্বাচন কমিশন-ইসি গঠন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী হাবিবুল আউয়াল। চার নির্বাচন কমিশনার হয়েছেন, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বেগম রাশিদা সুলতানা, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবীব খান, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর ও অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব আনিছুর রহমান। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) শনিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন নির্বাচন কমিশন-ইসি দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। একই সাথে নেতৃবৃন্দ অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহনে একটি নির্বাচন উপহার দিতে নতুন ইসিকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশনার একজন ভালো মানুষ হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত। তার দায়িত্ব হচ্ছে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করা। এই ব্যাপারে আমরা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো তিনি যেভাবে চান। আমাদের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে, আগামী নির্বাচন যাতে সকলের অংশ গ্রহনে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্নভাবে হয়। দলের সভাপতিমন্ডলীর আরেক সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, নতুন নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেবে, একই সঙ্গে তারা তাদের দায়িত্ব সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করবে, দেশবাসী যাতে তাদের ওপর আস্থা রাখতে পারে, এটাই তাদের প্রত্যাশা।
আ‘লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, নতুন ইসির মুল দায়িত্ব হচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করা। তিনি বলেন, নতুন ইসিতে যারা দায়িত্ব পেয়েছেন কর্মজীবনে প্রত্যেকেই অত্যন্ত দক্ষতা, সততা এবং যোগ্যতার সাথে কাজ করেছেন। আমাদের প্রত্যাশা, তারা অতীতে যে যোগ্যতা-দক্ষতা দেখিয়েছেন, ঠিক সেইভাবে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূলন করবেন। হানিফ বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আমাদের অনুরোধ থাকবে, শুধুমাত্র রাজনৈতিক ফায়দা লুটার জন্য এই কমিশনকে নিয়ে অযৌক্তিক কথাবার্তা বলে বিতর্কিত করার চেষ্টা না করা হয়, সেটাই জাতির প্রত্যাশা। নতুন নির্বাচন কমিশনকে অভিনন্দন জানিয়ে আরেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, রাষ্ট্রপতি সংবিধান অনুয়ায়ী যাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নির্বাচিত করেছেন, তাদের অভিনন্দন জানাই। প্রত্যাশা করি, এই ইসি বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার জন্য, গণতান্ত্রিক ধারবাহিকতাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য; একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দেশবাসীর প্রত্যাশা পূরন করতে পারবে।