রহমত ডেস্ক 26 February, 2022 08:35 PM
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার-সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, যদি সবাইকে নিয়ে একটি সম্মানজনক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি তবে হয়ত সফলতার সুখ কিছুটা ভোগ করতে পারব, নতুবা মনোবেদনা থাকবে। সিইসি হিসেবে শপথ নেওয়ার পর আমি আমার সব সহকর্মীদের সাঙ্গে মত বিনিময় করব। কিতাবে কী লিখা আছে তা দেখব। জাতীয় নির্বাচনের আর মাত্র দুই বছরের মতো সময় বাকি আছে। তাই প্রস্তুতি নিতে হবে। আজ (২৬ ফেব্রুয়ারি) শনিবার সন্ধ্যায় এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে গিয়ে সিইসি এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যোগ্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে জমা দেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। গত ২৭ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রথমবারের মতো আইন প্রণয়ন করে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ ফেব্রুয়ারি আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে সভাপতির দায়িত্ব দিয়ে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি। এরপর সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও সুধীজনের কাছ থেকে নাম আহ্বানের সিদ্ধান্ত হয়। একইসঙ্গে বিশিষ্টজনদের সঙ্গে বৈঠক আহ্বান করে সার্চ কমিটি। সরাসরি ও ইমেইলের মাধ্যমে সার্চ কমিটির কাছে প্রায় পাঁচশজনের নাম জমা পড়ে।
এসব নাম থেকে প্রথম দফায় ১৪ ফেব্রুয়ারি কমন নাম বাদ দিয়ে ৩২২ জনের তালিকা প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এরপর বিশিষ্টজনদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকের মাধ্যমেও বেশ কিছু নাম পায় সার্চ কমিটি। সেখানেও কিছু কমন নাম বাদ দিয়ে তালিকায় প্রস্তাবিত নামের সংখ্যা দাঁড়ায় ৩২৯ জনে। এসব নাম থেকে একাধিক দফায় বৈঠক করে ২০ জনের নাম বাছাই হয়, দ্বিতীয় দফায় সেটা ১২-১৩ জনে আসে। গত মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সার্চ কমিটির সর্বশেষ বৈঠকে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত হয়। কিন্তু এ দশজনের নাম প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয় সার্চ কমিটি। উল্লেখ্য, কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন সর্বশেষ বিদায়ী ইসির মেয়াদ গত ১৪ ফেব্রুয়ারি শেষ হয়।
আগামী পাঁচ বছর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন কাজী হাবিবুল আউয়াল। সবশেষ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ছিলেন তিনি। সেখান থেকে ২০১৭ সালে অবসরে যান। এছাড়া কাজী হাবিবুল আউয়াল সরকারের বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন। বিসিএসের ১৯৮১ ব্যাচের এই কর্মকর্তা এর আগে ধর্ম, সংসদ সচিবালয়েও সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। সরকারি চাকরি থেকে বিদায় নেওয়ার পর ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করছিলেন নতুন সিইসি।