রহমত ডেস্ক 30 January, 2022 01:12 PM
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ৫০ বছরে কমিয়ে আনার পরও দেখা গেছে, খুব বেশি মানুষকে বুস্টার ডোজের আওতায় আনা যাচ্ছে না। এ কারণে বয়সসীমা আরো কমিয়ে এনেছি। আমাদের হাতে বুস্টার ডোজ দেওয়ার মত পর্যাপ্ত টিকা আছে। এখন থেকে ৪০ বছরের বেশি বয়সী সবাই করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। রবিবার থেকেই তা শুরু হচ্ছে।
আজ (৩০ জানুয়ারি) রবিবার মহাখালীর বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ান্স অ্যান্ড সার্জনস মিলনাতনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা, টিকা কর্মসূচির পরিচালক ডা. শামসুল হক প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন থেকে আমরা ১২ বছরের ওপরে সবাইকে টিকা দেবো। পূর্বে শুধু স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এই বয়সসীমা ছিল, এখন শিক্ষার্থী ছাড়াও বাকি সবাইকে টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের ঊর্ধ্বে মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও এখন টিকা পাবে। টিকা কার্যক্রম বর্তমানে যেভাবে চলছে, সে পদ্ধতিতেই ১২ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া হবে। ১২ বছরের বেশি বয়সীরা অন্যদের মত নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধন না করলেও জন্মনিবন্ধন কার্ড নিয়ে কেন্দ্রে গেলে টিকা নিতে পারবে। এখন এটা সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হল। যদি কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারে, তাহলেই আমরা টিকা দেব। কিছু দেখাতে না পারলেও আমরা তাদের ফেরত দেব না। টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছর করার ব্যাপারে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে আমাদের আলাপ হয়েছে। তারা পর্যালোচনা করে আমাদের জানাবে বলে জানিয়েছে। তাদের থেকে আমরা বার্তা পেলেই টিকার বয়সসীমা পাঁচ বছরে নামিয়ে আনা হবে।
গতবছর ফেব্রুয়ারিতে দেশে করোনাভাইরাসের টিকাদান শুরুর পর ১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী স্কুলপড়ুয়াদের কোভিড টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। জানুয়ারিতে সারা দেশে শুরু হয় সেই কার্যক্রম। আর গত ২৮ ডিসেম্বর সারাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। যাদের বয়স ৬০ বছরের বেশি, যারা কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনের সারিতে আছেন, এবং যারা বিভিন্ন অসংক্রামক রোগের কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আছেন, তাদের করোনাভাইরাসের টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়। পরে ১৭ জানুয়ারি সেই বয়সসীমা কমিয়ে ৫০ বছর করা হয়। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে বুস্টার ডোজ বা তৃতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। যে আগে যে হাসপাতাল থেকে দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, সেই হাসপাতাল থেকে তার মোবাইলে বুস্টার ডোজের তারিখ জানিয়ে এসএমএস পাঠানো হচ্ছে। সেই কেন্দ্রে নির্ধারিত দিনে গিয়ে তৃতীয় ডোজ নিতে হচ্ছে।