দৈনিক ৮ কর্মঘণ্টাসহ ১০ দাবি দোকান কর্মচারী ফেডারেশনের

সারাদেশে কর্মরত সব দোকানের কর্মীদের ‘বেআইনিভাবে’ ছাঁটাই বন্ধ করাসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে জাতীয় দোকান কর্মচারী ফেডারেশন। তাদের দাবিগুলো হলো, চাকরির নিরাপত্তা দিতে হবে। দৈনিক আট ঘণ্টা ডিউটি ও অতিরিক্ত কাজের জন্য ওভারটাইম দিতে হবে। করোনাকালে কর্মঘণ্টা সীমিত করতে হবে। নিয়োগপত্র ও পরিচয়পত্র দিতে হবে। দোকান কর্মচারীদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। বছরে দুইটি উৎসব/ঈদ বোনাস দিতে হবে। সপ্তাহে দেড় দিন ছুটি দিতে হবে। কর্মস্থলে দুর্ঘটনায় আহত ও নিহত কর্মচারীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে। হাজিরা খাতা ও সার্ভিস বুক দিতে হবে।

আজ (২৮ জানুয়ারি) শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটির আয়োজনে এক মানববন্ধনে বক্তারা এসব দাবি জানান। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবুল, সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক আমিন, সহ-সভাপতি কামরুল হাসান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, সারাদেশে ৬০ লাখ দোকান কর্মচারী কাজ করেন। করোনার কারণে দোকান, মার্কেট, শপিংমল এবং ডিপার্মেন্টাল শপগুলো অনেক দিন বন্ধ ছিল। ইতোমধ্যে সব দোকানপাট খুললেও কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার দিকে দোকান মালিকেরা কোনো নজরই দিচ্ছেন না। দোকান কর্মচারীরা সব ধরনের জনসাধারণের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকায় করোনাকালীন তাদের সবচেয়ে বেশি স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। দোকান মালিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তার ব্যবস্থা খুবই দুর্বল। আমরা দোকান কর্মচারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে টিকার ব্যবস্থা করার কথা বলে আসলেও সংশ্লিষ্টরা তা এখনো পর্যন্ত করছে না। ফলে দোকান শ্রমিকরা সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্তের ঝুঁকিতে রয়েছেন। করোনাকালীন বিক্রি কমের অজুহাতে অনেক দোকান মালিকই কর্মচারীদের মাসিক বেতন অর্ধেক বা বেতন কম দিচ্ছে। গত দুই ঈদেও দোকান মালিকেরা অধিকাংশ দোকান কর্মচারীকে বোনাস দেয়নি। হাজার হাজার দোকান কর্মচারীকে ক্ষতিপূরণ ছাড়াই চাকরি থেকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।