| |
               

মূল পাতা আন্তর্জাতিক কানাডার সেই মুসলিম পরিবারের জানাজায় হাজারো মানুষ


কানাডার সেই মুসলিম পরিবারের জানাজায় হাজারো মানুষ


রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক     13 June, 2021     02:46 PM    


মুসলিমবিদ্বেষী হামলায় নিহত কানাডার মুসলিম পরিবারের চার সদস্যের জানাযায় হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছেন। চোখের জলে বিদায় দিয়েছেন মুসলিম পরিবারের ওই সদস্যদের। জানাজা শেষে দেশটির অন্টারিওর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়।

গত শুক্রবার কানাডার জাতীয় পতাকায় মোড়ানো তাদের কফিন দেখে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।

জানাজায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কানাডায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার রাজা বশির তারার। তিনি বলেন, আজ কানাডার সব শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বর্ণবাদী ও জাতিবিদ্বেষকে সবাই ঘৃণা করে।

এর আগে,  গত রোববার (৬ জুন) কানাডায় মুসলিমবিদ্বেষের শিকার হয়ে ওই পরিবারের ৪ সদস্যকে গাড়িচাপা দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এক চালক। ওই হত্যাকারীর নাম নাথানিয়েল ভেল্টম্যান। তার বয়স ২০ বছর। তাকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় টরোন্টো থেকে ১২৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমের শহর লন্ডনে রাস্তা পারাপারের জন্য অপেক্ষা করার সময় তারা এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়। হামলাকারী চালক তার গাড়িটি অপেক্ষমাণ পরিবারটির ওপর উঠিয়ে দেয়।

পুলিশ জানায়, নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ৭৭ ও ৪৪ বছর বয়স্কা দুই নারী, ৪৬ বছর বয়স্ক এক পুরুষ ও ১৫ বছর বয়স্কা এক কিশোরী। এছাড়া ৯ বছর বয়সী এক বালক মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ তাদের পরিচয় প্রকাশ করেনি।

এরপরই প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো টুইট করে জানান, ‘আমি লন্ডন এবং দেশের সব মুসলিমকে জানাচ্ছি, আমরা আপনাদের পাশে আছি। আমাদের দেশে ইসলামোফোবিয়ার কোনো স্থান নেই। এবং এই ধরনের ঘটনা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’

শহরের পুলিশ প্রধান স্টিভ উইলিয়ামস জানিয়েছেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, ২০ বছর বয়সী গাড়িচালক ইচ্ছে করেই এই কাজ করেছে। আমাদের বিশ্বাস, এই পরিবারকে সে টার্গেট করেছিল, কারণ তারা মুসলিম। এটা হেট ক্রাইম।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাড়িটি রাস্তার অন্যদিক থেকে আসে এবং হাঁটার জন্য নির্ধারিত জায়গায় গিয়ে পরিবারের মানুষদের ধাক্কা মারে। চালককে কাছের একটি শপিং মলের পার্কিং থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।

ওই পরিবারের বন্ধু জাহিদ খান সূত্রে জানা গেছে, পরিবারটি ১৪ বছর আগে পাকিস্তান থেকে এসেছিল। স্থানীয় মসজিদে নিয়মিত তাদের যাতায়াত ছিল। প্রতিদিনই তারা রাতে হাঁটতে যেতেন। রোববারেও গেছিলেন।

শহরের মেয়র জানিয়েছেন, মুসলিম-বিদ্বেষের কারণেই হত্যা করা হয়েছে। শহরের চার লাখ বাসিন্দার মধ্যে প্রায় ৪০ হাজার মুসলিম। এই ঘটনার জন্য শহরের পতাকা তিনদিনের জন্য নামিয়ে রাখা হয়।

/জেআর/