রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 25 February, 2021 03:24 PM
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিচারের দীর্ঘসূত্রতা সবাইকে হতাশ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম। তিনি বলেন, ‘সামরিক ও বেসামরিক যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করার জন্য আজ আমরা এখানে সমবেত হয়েছি। দীর্ঘ ১২ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে, এখন পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা করা সম্ভব হয়নি। বিচারের এ দীর্ঘসূত্রতা আমাদের সবাইকে হতাশ করেছে। দেশবাসী মর্মাহত হয়েছে। ইতোমধ্যে নিম্ন বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগ নেতাকে খালাস দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারা প্রত্যক্ষভাবে জড়িত, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হয়নি, কয়েকজনকে আনা হয়েছে। কিন্তু এ হত্যাকাণ্ডের যারা পরিকল্পনাকারী, দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারী, তারা এখন পর্যন্ত পর্দার অন্তরালে রয়েছে। দেশবাসীর সামনে তাদের পরিচয় স্পষ্ট নয়। আমরা সরকারকে অনুরোধ জানাব, এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হোক।’
বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে বনানী সামরিক কবরস্থানে বিএনপির পক্ষ থেকে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
হাফিজ উদ্দিন বলেন, ‘পিলখানা হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে এক গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার কামনা করছি। এ হত্যাকাণ্ড করা হয়েছে বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য।’ তিনি বলেন, ‘এর (পিলখান হত্যাকাণ্ড) বেনেফিশিয়ারি কারা, সেটি দেশবাসী পরিষ্কার জানতে চায়।’
হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, ‘আমরা আশা করি, এ বছরের মধ্যে এ হত্যাকাণ্ডের চূড়ান্ত ফয়সালা ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। শহীদ পরিবারগুলো মনোবেদনার মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। তাদের শান্তি ও শহীদদের আত্মার শান্তির জন্য দ্রুত এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের বিচার আশা করি। সেইসঙ্গে এ দেশে আমরা সুশাসন কামনা করি। দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ করা হয়েছে, তাঁর মুক্তি কামনা করি।’
বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘ঘটনার অববহিত পরে লেফটেনেন্ট জেনারেল জাহাঙ্গীরের নেতৃত্বে সেনা কর্তৃপক্ষ একটি কোড অব ইনকোয়ারি পরিচালনা করেছিলেন। সেই তদন্ত কমিটির রায় এখন পর্যন্ত জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়নি। আমরা সেটি প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি। অফিসারদের রক্ষা করায় একজন সুবেদার মেজরকে হত্যা করা হয়েছিল, তার পরিবার এখন পর্যন্ত কোনো সুযোগ সুবিধা পায়নি। এ ব্যাপারে সরকারের আশুদৃষ্টি কামনা করছি।’
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বীর উত্তম, এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর বিক্রম, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর, কর্নেল (অব.) ইসহাক, কর্নেল মনিষ দেওয়ান, কর্নেল (অব.) কামরুজ্জামান, মেজর (অব.) হানিফ, মেজর (অব.) ব্যারিস্টার সরোয়ার প্রমুখ।
-জেড