রহমতটোয়েন্টিফোর ডেস্ক 26 January, 2021 11:03 PM
বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন নেতৃবৃন্দ বলেছেন, হাফেজ্জী হুজুর রহ. এর রাজনীতির অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল গোনাহ থেকে তওবা করা। অসৎ মানুষদেরকে ভোট দিয়ে সুদ-ঘুষ-দূর্নীতি, জুলুম সহ পাপাচারের দুয়ার খুলে দেয়া হয়েছে তার দায়ভার ভোটদাতাদের কাঁধেও বর্তায়। আর থেকে তওবা করার উপায় হচ্ছে ভাল মানুষদেরকে ভোট দিয়ে অন্যায়কে দূর করে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করা। হাফেজ্জী হুজুরের তওবার রাজনীতির এই প্রেক্ষাপট আজও সমভাবে বিরাজমান; এমনকি বর্তমানে তার প্রয়োজনীয়তা আরও তীব্রতর হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি, ২০২১) বাদ আসর রাজধানীর লালবাগস্থ বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পেশাজীবিদের বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনে যোগদান উপলক্ষ্যে লালবাগ থানা শাখা কতৃক আয়োজিত এক আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
খেলাফত আন্দোলন লালবাগ থানা আমীর মুফতী আবু বকরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো: মোফাচ্ছির হোসাইন, সহকারী দফতর সম্পাদক ও লালবাগ থানা নায়েবে আমীর মাওলানা সাইফুল ইসলাম জামালী, মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম, সফটওয়্যার প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক আবু মূসা, আব্দুর রহীম, মো: মামুন, রবিউল ইসলাম প্রমূখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের কর্ণধাররা ধর্মকে অতি পবিত্র এবং মানুষের ব্যক্তিগত বিষয় আখ্যা দিয়ে ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে কেবল মসজিদ-মাদ্রাসাতেই সীমাবদ্ধ রাখতে চাইছে। যাতে করে তাদের জুলুম-নির্যাতন, অবিচার, হানাহানি, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার কোনরকম বাধার সম্মুখীন না হয়। ইসলামে যে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার পুঙ্খানুপুঙ্খ নীতিমালা ও বিধান রয়েছে এবং মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তাঁর সাহাবায়ে কেরাম ইসলামের বিধানের আলোকে রাষ্ট্র পরিচালনা করে দেখিয়েছেন এই বিষয়গুলোকে তারা একপ্রকার অস্বীকারই করতে চায়। যে কারণে তারা প্রণয়ন করেছে ধর্মনিরপেক্ষতা। এর বিপরীতে হাফেজ্জী হুজুরের আহবান মোতাবেক ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র কায়েমে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।