| |
               

মূল পাতা জাতীয় এবারের বাজেট ব্যবসাকে আরও গতিশীল করবে: বিজিএমইএ


এবারের বাজেট ব্যবসাকে আরও গতিশীল করবে: বিজিএমইএ


রহমত ডেস্ক     10 June, 2022     11:37 AM    


২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ব্যবসাকে আরও গতিশীল করবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে আমাদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানির জন্য সাব-কন্ট্রাক্টের বিপরীতে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া ও নগদ সহায়তাগুলো চলমান রাখাসহ ৯ ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়েছে। যা নিঃসন্দেহে আমাদের ব্যবসাকে আরও গতিশীল করবে এবং ব্যবসায়ীক সক্ষমতা বাড়াবে।

বৃহস্পতিবার (৯ জুন) এস এম মান্নান আরো বলেন, এই বাজেটের মূল বিষয় হলো উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন এনে দেশকে আরও অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী করা। আর এটি করতে হলে অর্থনীতিতে অবদান রাখা শিল্পগুলোর প্রতি, বিশেষ করে পোশাক শিল্পের প্রতি বিশেষ নজর দিতে হবে।

তিনি বলেন, টালমাটাল বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি আমাদের পোশাক শিল্পের জন্য বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। এই অবস্থায় প্রস্তাবিত বাজেটে পোশাক রপ্তানির ওপর উৎসে কর শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১ করার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে শিল্পের জন্য অত্যন্ত কঠিন।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ‘কোভিডের অভিঘাত পেরিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন’ স্লোগান নিয়ে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়েছে। নতুন এ বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের তুলনায় ৭৪ হাজার ৩৮৩ কোটি টাকা বেশি।

বাজেটে ম্যান মেড ফাইবার ও অন্যান্য কৃত্রিম আঁশের তৈরি সুতার ওপর ভ্যাটের পরিমাণ ৬ টাকা থেকে কমিয়ে ৩ টাকা প্রতি কেজি করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পলিপ্রপাইলিন স্ট্যাম্পল ফাইবার উৎপাদনের ওপর ভ্যাট অব্যাহতি ও এর প্রয়োজনীয় কাঁচামাল আমদানির ওপর আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। টেক্সটাইল গ্রেড পিট চিপস উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় টেরিপ্যাথিলিক অ্যাসিড ও ইথেলিন গ্লাইকোল আমদানির ওপর আগাম কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং এই পণ্যটি তৈরির ক্ষেত্রে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া এবং সিউএজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এছাড়া, মোবাইল ফাইন্যানসিয়াল সার্ভিসের সার্ভিস চার্জসমূহ আয়করের বাইরে রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।