| |
               

মূল পাতা রাজনীতি সিন্ডিকেট ভাঙেনি, হাত বদল হয়েছে: সারজিস আলম


ফাইল ছবি

সিন্ডিকেট ভাঙেনি, হাত বদল হয়েছে: সারজিস আলম


রহমত নিউজ     24 October, 2024     08:30 PM    


সিন্ডিকেট ভাঙেনি, হাত বদল হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম। তিনি বলেন,   ১৬ বছরের যে সিন্ডিকেট, সে সিন্ডিকেট না ভেঙে এক হাত থেকে অন্য হাতে গেছে। তবে সেখানে পূর্বের হাতেও ভাঙেনি, সে পূর্বের হাতও ১৫-২০ শতাংশ ভাগ পায়।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে বাংলা একাডেমিতে ব্রেইন ও আদর্শ প্রকাশনি আয়োজিত 'গণতন্ত্রের অভিযাত্রা, আসন্ন চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকার ব্যর্থ মন্তব্য করে তিনি বলেন, গ্রামে কৃষক সবজি কেজিতে ৩০-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে কিন্তু কারওয়ান বাজার এসে ৫টা হাত বদল হয় যেখানেই দাম দ্বিগুণ হয়ে যায়। এই কাজগুলো যারা করছে তারাও তো মানুষ।

সারজিস আলম বলেন, আমরা অধিকাংশ মানুষ নিরব দর্শক, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা দর্শক যতক্ষণ না নিজের উপর এসে পড়ে। যারা আওয়ামী লীগের অন্ধ সমর্থক সে সংখ্যাটা কিন্তু বেশি না, ৮-১০ শতাংশ মানুষ। আর বাকি ৭০-৮০ শতাংশ মানুষ আমরা নিরব। আমাদের এই গোষ্ঠীটাই সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হবার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ি।

কিছু মানুষ আছে যাদের কাছে রাষ্ট্রের চেয়েও তার ছোট ব্যক্তিগত স্বার্থ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে এই সমন্বয়ক বলেন, এখনো মামলার ব্যবসা চলছে। ২০০ জনের নামে মামলা হয়, যারা নিরপরাধ তাদের ফোন দিয়ে বলা হয় আপনার নাম কাটবো টাকা নিয়ে আসেন।

সারজিস আলম বলেন, আমরা প্রত্যেকেই প্রত্যেকের জায়গায় সুবিধাবাদী। একজন এসে বলে তাকে কাজী বানানোর জন্য সুপারিশ করতে। কিন্তু এর মাধ্যমেও যে আরেকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সেটা আমরা ভাবি না। আমরা শুধু নিজের সুবিধার কথায় ভাবি।

যারা সমন্বয়কের নামে বিভিন্ন অপকর্ম করেছে তারা সমন্বয়ক হয়েছে ৫ তারিখের পর মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, তারা ৩৬ দিনে চুপ ছিলো এরপরে এসেছে নিজেদের বড় করে জাহির করতে। কিন্তু আমরা তাদের কারণে যারা জীবন বাজি রেখে আন্দোলন করেছে তাদের হেয় করছি।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আইন, বিচার ও সংসদ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল, সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ, রাজনীতি বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, সাহেদ আলম, মনির হায়দার, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক উমামা ফাতেমা, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও সাইয়্যেদ আব্দুল্লাহ।