মফস্বল ডেস্ক 09 September, 2024 11:16 PM
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থানীয় এক নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ধর্ষণের শিকার ওই নারী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনক (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আসামিরা হলেন মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামের মতি মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (৩৫)। তিনি উজানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্য আসামি একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে পরিতোষ মণ্ডল (৪৫)। তাকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে মুকসুদপুর থানার একটি মামলায় বেশ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে ভুক্তভোগীকে আদালতের সব কাজে সহযোগিতা করতেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম মোল্লা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ আগস্ট আদালতে যাওয়ার কথা বলে তিনি ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম নিশ্চিন্তপুরে আরেক অভিযুক্ত পরিতোষ মণ্ডলের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে সেখানে তার সহযোগিতায় তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারী চিৎকার করলে পরিতোষ তার বাসার সাউন্ডবক্সে ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দেন। পরে ওইদিন ভুক্তভোগী মুকসুদপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আজ গোপালগঞ্জের আদালতে তিনি মামলা করেন।
এ বিষয়ে উজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শ্যামল কান্তি ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, বাদী এবং অভিযুক্ত একে অপরের আত্মীয়। বাদীর স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর থেকে দেখতাম তারা একসঙ্গে কোর্টে যেত। তবে ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নেই।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আকরামকে বহিষ্কার করব।
এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আকরাম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তিনিসহ তার সহযোগী পলাতক রয়েছেন।