রহমত নিউজ 16 May, 2024 11:05 AM
বিশ্ববাজারে আবারও বাড়ল তেলের দাম। মার্কিন ডলারের দর কিছুটা কমে যাওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসোলিনের মজুত কমে যাওয়ার প্রভাব বাজারে পড়েছে। এ কারণেই বিশ্ববাজারে তেলের চাহিদা বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এক প্রতিবেদনে এমন তথ্যই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
বুধবার (১৫ মে) ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৩৯ সেন্ট বেড়ে ৮২ দশমিক ৭৭ ডলার এবং ডব্লিউটিআই ক্রুডের দাম ব্যারেলপ্রতি ৪২ সেন্ট বা শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ৭৮ দশমিক ৪৪ ডলারে উঠেছে। এদিকে বিশ্বের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রার বিপরীতে তৈরি ইউএস ডলার ইনডেক্স আজ শূন্য দশমিক ১৬ শতাংশ কমেছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অপরিশোধিত তেল ও গ্যাসোলিনের মজুত কমে যাওয়ার প্রভাব বাজারে পড়েছে। গত মাসের মূল্যস্ফীতির পরিসংখ্যান যেটা প্রকাশিত হওয়ার কথা, তাও তেলের মূল্যবৃদ্ধির পক্ষে সহায়ক হবে বলে বাজারের ধারণা।
গত ১০ মে শেষ হওয়া সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের তেল ভান্ডারের মজুত কমেছে ৩১ লাখ ০৪ হাজার ব্যারেল। আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট এ তথ্য প্রকাশ করেছে। গ্যাসোলিনের মজুত কমেছে ১২ লাখ ৬৯ হাজার ব্যারেল, যদিও ডিস্টিলিটের মজুত বেড়েছে ৬ লাখ ৭৩ হাজার ব্যারেল।
এই ভরা মৌসুম সত্ত্বেও ইন্টারন্যাশনাল এনার্জি এজেন্সি ২০২৪ সালের তেলের চাহিদার পূর্বাভাস হ্রাস করেছে। দিনে ১ লাখ ৪০ হাজার ব্যারেল তেলের পূর্বাভাস কমিয়ে দৈনিক পূর্বাভাস ১ দশমিক ১ মিলিয়ন বা ১১ লাখ ব্যারেলে নামিয়ে এনেছে তারা। কারণ হিসেবে তারা বলেছে, ওইসিডিভুক্ত ধনী দেশগুলোর চাহিদা কমে গেছে।
গ্যাস ও তেলবিষয়ক কৌশলবিদ বিকাশ ডিভেদি বলেছেন, চলতি ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে জ্বালানি তেলের দাম প্রতি ব্যারেল ৮০ থেকে ৯০ ডলারের মধ্যে থাকবে।
বিকাশ ডিভেদি রয়টার্সকে আরও বলেন, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের পর তেলের বাজারে কিছুটা মন্দাভাব দেখা যাবে। বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ওপেকবহির্ভূত দেশগুলোর তেলের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি ওপেক ও সহযোগী দেশগুলোর তেলের নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা কমে যাবে। সেই সঙ্গে চলমান মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তেলের চাহিদাও কমবে।
কানাডার তেল সরবরাহ নিয়ে অনিশ্চয়তার জেরেও বিশ্ববাজারে বেড়েছে তেলের দাম। কানাডার তেলশিল্পের কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ফোর্ট ম্যাকমুরের দিকে ধেয়ে আসছে দাবানল, যেখানে দৈনিক ৩৩ লাখ ব্যারেল তেল বা দেশটির মোট চাহিদার দুই-তৃতীয়াংশ তেল উৎপাদিত হয়। এ অনিশ্চয়তা যত দিন থাকবে, তত দিন তেলের বাজারে কিছুটা চাপ থাকবে।