রহমত নিউজ ডেস্ক 04 December, 2023 10:51 AM
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে ঢাকা। এছাড়া মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসন শুরুর প্রচেষ্টা ঢাকা অব্যাহত রেখেছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। মিয়ানমারের চলমান পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে বাংলাদেশ। মিয়ানমারে পরিস্থিতির উন্নতি হলে শিগগিরই রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায়, নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবাসনের জন্য বাংলাদেশ-মিয়ানমার-চীনের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগ চলমান রয়েছে। জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ, টেকসই ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসন শুরু করতে রাখাইনে ফেরার পর রোহিঙ্গারা কী কী সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে তা জানানো হয়েছে। সোমবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে এক সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিকল্প মুখপাত্র বলেন, ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার মিশন বন্ধ হওয়ার পর পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলো নয়া দিল্লিতে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের মাধ্যমে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ভবিষ্যতে আবারো ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস খোলার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।ঢাকায় উত্তর কোরিয়ার দূতাবাস একটি কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম বন্ধের বিষয়টি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে।বিশ্বজুড়ে কোরিয়ান মিশনগুলোর উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিস্থাপনের অংশ হিসেবে উত্তর কোরিয়ার সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত তার তিন কর্মকর্তাসহ ঢাকা ত্যাগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে উত্তর কোরিয়ার দূতাবাসের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হয়েছে। চীনের বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। উত্তর কোরিয়া বাংলাদেশে প্রথম দূতাবাস খোলে ১৯৭৪ সালে।
তিনি আরো বলেন, পররামন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ৫-৬ ডিসেম্বর ঘানার রাজধানী আক্রায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল শান্তিরক্ষীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার বিষয়ে ঢাকার অবস্থান তুলে ধরবে। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল তাদের নিরাপত্তা ঝুঁকি মোকাবেলায় কৌশলগত যোগাযোগ, শান্তিরক্ষীদের মানসিক সুস্থতা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার ওপরও জোর দেবে। বৈঠকের ফাঁকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন।