রহমত নিউজ ডেস্ক 18 October, 2023 11:39 AM
সরকার পতনের এক দফার যুগপৎ আন্দোলন সফল পরিণতির দিকে যাচ্ছে বলে জানিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গে যারা জড়িত সবাই একযোগে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের প্রতিটি কর্মসূচি পালন করছে। এ আন্দোলনে আমরা সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি। ফলে আন্দোলন একটি সফল সমাপ্তির দিকে যাচ্ছে বলে আমরা বিশ্বাস করি। এ প্রেক্ষাপটেই আমরা আজ বসেছি, মতবিনিময় করেছি, আন্দোলনের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেছি। এর মাধ্যমে আগামী দিনে আন্দোলনের কর্মসূচি কী হবে সবাই মতামত দিয়েছেন এবং সেভাবেই আমরা সফল সমাপ্তির দিকে এগিয়ে যাবো।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেড় ঘণ্টাব্যাপী সমমনা দল গণফোরাম ও পিপলস পার্টির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা জানান। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যুক্ত ছিলেন। সরকার পতন আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচি কী হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করতেই এ বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে গণফোরামের অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জগলুল হায়দার আফ্রিক ও মহিউদ্দিন আবদুল কাদের এবং পিপলস পার্টির বাবুল সরদার চাখারি, মোহাম্মদ আবদুল কাদের ও পারভিন নাসের খান ভাসানী উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের মধ্যে আমীর খসরু ছাড়াও দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ছিলেন।
গণফোরাম-একাংশের সভাপতি মোস্তফা মোহসিন মন্টু বলেন, বাংলাদেশের জনগণের একটিই দাবি- অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন। সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। এর কোনো বিকল্প নেই। অতীতে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে বলেই আজ জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে বর্তমান প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তাই নির্দলীয় সরকারের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যেই আমরা আন্দোলন করছি। আগামী জানুয়ারিতে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট ধরে নভেম্বরে তফসিল ঘোষণা করতে নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতির মধ্যেই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার ঘোষণা দেওয়া বিএনপি ও সমমান দলগুলো দুর্গাপূজার পর ‘কঠোর কর্মসূচি’ দেওয়ার কথা বলেছে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করতে হবে, সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন করে নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। এরপর নির্বাচনের আয়োজন করতে হবে।