বেফাকের সভাপতি মাওলানা মাহমুদুল হাসান, মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক

কণ্ঠভোটে দেশের সর্ববৃহৎ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসার মুহতামীম মাওলানা মাহমুদুল হাসান , সিনিয়র সহ সভাপতি মনোনীত হয়েছেন শায়খ সাজিদুর রহমান ও মহাসচিব মনোনীত হয়েছেন মাওলানা মাহফুজুল হক।

আজ শনিবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে উমুমির সম্মেলনে কণ্ঠভোটে তারা মনোনীত হন।  কণ্ঠভোটে শরিক ছিলেন সারাদেশ থেকে আগত বেফাকের মজলিসে উমুমির সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ভারপ্রাপ্ত সভাপতি  মাওলানা মাহমুদুল হাসান। পরিচালনা করেন ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাহফুজুল হক।

সভায় বেফাকের সহ সভাপতি মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন রাজু ৩ জনের নাম প্রস্তাব করেন। উপস্থিত সকলে হ্যা কণ্ঠে নিজের মতামত প্রদান করেন। সবার মতামতের ভিত্তিতে মাওলানা মাহমুদুল হাসান সভাপতি,  মাওলানা মাহফুজুল হক মহাসচিব ও শায়খ সাজিদুর রহমান সিনিয়র সহ সভাপতি মনোনীত হন। 

বেফাকের এই সম্মেলনে ১৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় উপদেষ্টা পরিষদ, ১৫০ সদস্যের আমেলা এবং ২৮৫ সদস্য বিশিষ্ট শূরার নাম মজলিসে উমূমীতে ঘোষণা করা হয়।  এ ছাড়া সম্মেলনে ১২টি প্রস্তাব গৃহীত এবং ১০টি নির্দেশনা প্রদান করা হয়। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল: কাদিয়ানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করা। কারাবন্দী ওলামায়ে কেরামকে মুক্তিদান এবং সকল হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করা। জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিরোধী ভাবধারা দূরীকরণ, শিক্ষার সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা এবং শিক্ষাঙ্গণে হিজাব ও পর্দার অধিকার বহাল রাখা। এবং নাস্তিক্যবাদ, খৃষ্টান মিশনারী, কাদিয়ানী ফিতনা, হিজবুত তাওহীদ ইত্যাদির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করা।