| |
               

মূল পাতা সারাদেশ ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার


ছাত্রীকে যৌন হয়রানি, শিক্ষক গ্রেপ্তার


মফস্বল ডেস্ক     18 September, 2023     10:09 PM    


চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শাকিল আরাফাত (৩৫) নামে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার শেখপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এর আগে, ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার শাকিল আরাফাত চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার ফরাশপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে। দীর্ঘদিন ধরে দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন শিক্ষক শাকিল। শুধু একজন নয়, ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেছেন আরও বেশ কয়েকজন ছাত্রী।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের সহকারী শিক্ষক শাকিল আরাফাতের কাছে শেখপাড়ায় তার ভাড়া বাসায় প্রাইভেট পড়ত দশম শ্রেণির এক ছাত্রী। সকালে প্রাইভেট পড়ে আসার সময় অভিযুক্ত শিক্ষক ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে কিছু খাতা দেখে দিতে বলেন। ওই ছাত্রী শিক্ষকের কথা মতো সকালে তার বাসায় গিয়ে দেখেন শিক্ষক শাকিল আরাফাত ছাড়া কেউ নেই। এ সময় ওই ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে বলেন রাজি হলে পরীক্ষার আগেই প্রশ্নপত্র দিয়ে দেব।

শিক্ষক বলেন, তুমি আমার প্রস্তাবে রাজি হলে আমি তোমাকে বিয়ে করব এবং আমার স্ত্রীকে তালাক দেব। এতে রাজি না হলে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘর থেকে চলে যান ওই ছাত্রী। বিষয়টি প্রথমে কয়েকজন সহপাঠীকে জানায় যৌন হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী। এরপর থেকে প্রাইভেট ও স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন। পরে গতকাল রোববার বিদ্যালয়ে গেলে ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে শরীরে স্পর্শ করেন এবং আবারও কুপ্রস্তাব দেন। প্রস্তাবে রাজি না হলে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। বাড়ি ফিরে ঘটনাটি পরিবারকে জানায় নির্যাতনের শিকার ওই ছাত্রী।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রী বলেন, আমার মতো এমন আরও ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রী আছেন যাদের সঙ্গে স্যার খারাপ আচরণ করেছেন। কিন্তু লজ্জা ও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারে না। আমি বাধ্য হয়ে অভিযোগ করছি। আমি শিক্ষক শাকিল আরাফাতের শাস্তি চাই। এ ধরনের শিক্ষক অন্য কোথাও গেলে আবারও একই আচরণ করবেন। তাই তার মতো মানুষকে শিক্ষকতা পেশায় কোনো প্রয়োজন নেই।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান বলেন, ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর বাবা নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে আইনে একটি মামলা করেছেন। পরে অভিযান চালিয়ে শিক্ষক শাকিল আরাফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

-আরটিভি অনলাইন


এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: খুলনা চুয়াডাঙ্গা চুয়াডাঙ্গা সদর