| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি দেশে আবারো অলিখিত বাকশাল কায়েম করা করেছে : ড. মঈন খান


দেশে আবারো অলিখিত বাকশাল কায়েম করা করেছে : ড. মঈন খান


রহমত নিউজ ডেস্ক     26 August, 2023     04:11 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। এটি যদি না থাকে তাহলে বাংলাদশের মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রগঠন সবকিছু অর্থহীন হয়ে যাবে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বাকশাল কায়েম করা হয়েছিল। বর্তমানে দেশে আবারো অলিখিত বাকশাল কায়েম করা করেছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) প্রেসক্লাবে নাগরিক কণ্ঠ বাংলাদেশ আয়োজিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রয়োগে নাগরিক সমাজের ভূমিকা শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। নাগরিক কণ্ঠের আহ্বায়ক মো. রমিজ খানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।

ড. মঈন খান বলেন, ‘সরকার বিদেশে ও মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে। তবে তারা মুখে বলে গণতন্ত্র, আর যা করে তা পুরোটাই উল্টো। বিগত ১৪ বছর ধরে সারাবিশ্বে দেশকে গণতন্ত্রকামী বলে প্রচার করে যে ফানুস উড়িয়েছে, তা এখন ফুটে গেছে। এখন দেশ ও সারাবিশ্বে এটা প্রচার হয়ে গেছে— দেশে কোনো গণতন্ত্র নেই। সে জন্য বিশ্ব আজ হস্তক্ষেপ করছে।’ এই আন্দোলন শুধু এনপির একার নয়, সারাদেশের মানুষের অধিকার আদায়ের। এটা শুধু আমাদের ক্ষমতায় যাওয়ার আন্দোলন নয়, সুষ্ঠু ধারা প্রয়োগের মাধ্যমে একটি সরকার গঠনের আন্দোলন। তারা ১৭৩ দিন হরতাল করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আবেদন করেছে। সেদিন তারা বলেছে তত্ত্বাবধায়ক এছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। তবে এখন কেন তারা এতে রাজি হয় না?’ 

তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে ২০০ এর অধিক দেশ রয়েছে— গণতান্ত্রিক, অগণতান্ত্রিক কিংবা স্বৈরাচার। তবে কোনো দেশে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১ লাখ মামলা হয়, আর ৪৫ লাখ বিরোধী দলের নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়। কোথাও এমন দেখাতে পারবেন না। অস্ত্র, লগি বৈঠা দিয়ে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করা যায়, তবে এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের মানুষের মন জয় করতে পারবে না। সরকার বন্দুকের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে। তবে এর মাধ্যমে তারা কোনোদিন মানুষের মন জয় করতে পারবে না। এই সরকার প্রচার করে দেশে মেগা উন্নয়ন হয়েছে। তবে দেশে মেগা দুর্নীতি করেছে তারা।