রহমত নিউজ ডেস্ক 07 August, 2023 12:04 PM
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলো থেকে আমাদের দেশে ডিভাইসগুলোর বিক্রয়মূল্য অনেক বেশি দেখা হয়। আবার দেখা যায়, একই এইচএস কোডে আমদানিকৃত মেডিক্যাল ডিভাইসের সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন মূল্যের ব্যাপক পার্থক্য।
রবিবার (৬ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ে মেডিকেল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সহযোগিতায় হার্টের পেসমেকার ও ভাল্বসহ অন্যান্য ইকুইপমেন্ট সংশ্লিষ্ট আইন অনুযায়ী ন্যায্য মূল্যে বিক্রয়ের লক্ষ্যে আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অধিদফতরের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক ও সহকারী পরিচালকরা, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, ডিজিএফআইয়ের প্রতিনিধি, এনএসআইয়ের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিনিধি, মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি গাজী এ কে শাহীন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেনসহ সদস্যরা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
ভোক্তা মহাপরিচালক বলেন, ভোক্তারা প্রায়ই হার্টের পেসমেকার, রিং ও ভাল্বসহ অন্যান্য ইকুইপমেন্ট উচ্চ মূল্যে কেনার বিষয়ে অধিদফতরে অভিযোগ করেন। এরকম সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে গত ২৩ জুলাই রাজধানীর কাওরান বাজারে দ্য স্পন্দন লিনিটেড নামে হার্টের পেসমেকার ও ভাল্ব বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদফতর নির্ধারিত সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে বেশি মূল্যে ডিভাইস বিক্রি, মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করা, মেয়াদোত্তীর্ণ ডিভাইস রাখা, ফ্রিজে ডিভাইস ও ঔষধের সঙ্গে কাঁচা সবজিপণ্য সংরক্ষণ করে রাখা, পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে বিক্রয় রশিদে কার্বন কপি ব্যবহার না করা ইত্যাদি বিষয় দেখা যায়। মূল্যের বিস্তর ফারাকের বিষয়গুলোতে স্পষ্ট হওয়ার জন্য জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের প্রতিনিধি, ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রতিনিধি, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্ট অব বাংলাদেশ এর প্রতিনিধি এবং মেডিক্যাল ডিভাইস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হবে। এই কমিটি আমদানিকৃত মেডিক্যাল ডিভাইসের সব তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এক্ষেত্রে অস্পষ্টতা দূর করার পাশাপাশি মূল্যের ক্ষেত্রে ব্যত্যয় আছে কিনা তা জানিয়ে আগামী এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।