রহমত নিউজ ডেস্ক 26 July, 2023 10:51 AM
সম্পত্তির উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে নারী ও ট্রান্সজেন্ডার জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সংগঠিত হতে হবে। বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে ভূমি ও সম্পত্তিতে নারীর অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি) এবং স্ট্যান্ড ফর হার ল্যান্ড ক্যাম্পেইন যৌথ আয়োজিত ‘সংবিধান, আইন, নীতিমালা ও আন্তর্জাতিক চুক্তির আলোকে ভূমি ও সম্পত্তিতে নারী এবং ট্রান্সজেন্ডারদের অধিকার’ শীর্ষক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে এএলআরডিচেয়ারপারসন মানবাধিকার কর্মী খুশী কবির এ আহ্বান জানান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এএলআরডির উপ নির্বাহী পরিচালক এবং স্ট্যান্ড ফর হার ল্যান্ড ক্যাম্পেইনের কান্ট্রি কোঅর্ডিনেটর রওশন জাহান মনি। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি সুনির্দিস্টভাবে ৩০টি সুপারিশ তুলে ধরেন। সেমিনারে বক্তব্য দেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. আইনুন নাহার, এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, রাঙামাটি চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র সভাপতি নাসিমুন আরা হক এবং বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিরীন আখতার এমপি বলেন, নারীর সমাধিকার আদায়ের জন্য রাষ্ট্রের সঙ্গে দর কষাকষির জায়গাটায় আমাদের অবস্থান প্রস্তুত করতে হবে। যত বেশি আমরা ঐক্যবদ্ধ আওয়াজ তুলতে পারবো, কথা বলতে পারবো, তত বেশি অধিকার আদায়ের পথে এগিয়ে যেতে পারবো। লড়াইয়ের জায়গাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী ও লড়াইকে সুনির্দিষ্ট করতে হবে।
মহিলা পরিষদ সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম বলেন, আইন, বিবাহ-তালাক, সন্তানের অভিভাবকত্বের ক্ষেত্রে আমরা অভিন্ন পারিবারিক আইনের কথা বলেছি। কিন্তু এখনও বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়নি। এই আইন হলে নারীর ভূমি অধিকার প্রতিষ্ঠায় আরো এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া সম্ভব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান বলেন, বাংলাদেশ ২০১৩ সালে ট্রান্সজেন্ডারদের স্বীকৃতি দিয়েছে। ট্রান্সজেন্ডারদের সুরক্ষার জন্য আইন প্রণয়ণের প্রক্রিয়া চলমান। ট্রান্সজেন্ডারসহ নারীর উত্তরাধিকারের ক্ষেত্রে বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন দরকার।