| |
               

মূল পাতা অর্থনীতি ২ হাজার টাকা করের প্রস্তাব বাতিল করে সংসদে অর্থবিল পাস


ফাইল ছবি

২ হাজার টাকা করের প্রস্তাব বাতিল করে সংসদে অর্থবিল পাস


রহমত নিউজ     26 June, 2023     10:27 AM    


টিআইএন সার্টিফিকেট বহনকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক ন্যূনতম ২০০০ টাকা করের প্রস্তাব থেকে সরে এসেছে সরকার। গত ১ জুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি প্রত্যাহারসহ আরও কয়েকটি সংশোধনী এনে জাতীয় সংসদে অর্থবিল ২০২৩ পাস হয়েছে।

রোববার (২৫ জুন) রাতে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলটির সংশোধনী প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নিষ্পত্তি হয়। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে শিক্ষার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান বল পয়েন্ট কলমের উপর ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করেছিলেন অর্থমন্ত্রী। বলপয়েন্ট কলমের উপর বিদ্যমান ৫ শতাংশের সঙ্গে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ যুক্ত করে বাজেটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছিল। তবে বিলটি পাসের সময় নতুন প্রস্তাবিত ওই ১০ শতাংশও প্রত্যাহার করা হয়েছে। ফলে বলপয়েন্টে ভ্যাট আগের মতো পাঁচ শতাংশই থাকছে।

বাজেটের ওপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সমাপনী বক্তব্যের পর অর্থবিল-২০২৩ সংসদে পাসের জন্য উত্থাপন করা হয়।

এর আগে, বিলটির পর সংসদ সদস্য শামীম হায়দার পাটোয়ারী, ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক, রূস্তম আলী ফরাজী, রওশন আরা মান্নান, কাজী ফিরোজ রশীদ, রেজাউল করিম, শহীদুজ্জামান সরকার বক্তব্য দেন। এসময় তারা ব্যাংক খাতের অরাজকতা, কালো টাকা সাদা করা, অর্থপাচার, আর্থিক খাতের নৈরাজ্য নিয়ে বক্তব্য দেন। অর্থবিল-২০২৩ এর ওপর এই সংসদ সদস্যদের আনা জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়।

এদিকে বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমাদের আশপাশের অনেক দেশের তুলনায় আমরা ভালো আছি। আমাদের অর্থনীতি ভালো আছে। আপনারা যারা বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন, তাদের জন্য বলি, আমাদের বর্তমান বৈদেশিক ঋণ জিডিপির মাত্র ৩৪ শতাংশ। এটি অন্য দেশে ২৬১ শতাংশ পর্যন্ত রয়েছে। ফলে বিদেশি ঋণের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা ভালো অবস্থানে আছি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অর্থনীতির কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি আমাদের বাংলাদেশকে মাত্র ১৪ বছরে ৬০তম অবস্থান থেকে ৩৫তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। এখন আমাদের লক্ষ্য, ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়ে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও জ্ঞান-ভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা।