বিএনপির সঙ্গে জাপানের রাষ্ট্রদূত বৈঠক

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্ব একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়ামা কিমিনোরি।

রবিবার (৪ মে) সকাল ১০টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বিএনপি নেতাদের সঙ্গে জাপানি রাষ্ট্রদূতের বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট পলিটিকাল সেক্রেটারি মিস ইগাই, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। এর আগে শনিবার (৩ জুন) রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনে ‘জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্ক: ভবিষ্যতের পূর্বাভাস’ শীর্ষক এক সিম্পোজিয়ামে জাপানি রাষ্ট্রদূত আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে এবং বৈচিত্র্য আনতে জাপান, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় প্ল্যাটফর্ম প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা যাচাই করে দেখার বিষয়ে জোর দিয়েছেন।

বৈঠক শেষে বিএনপির বিদেশ বিষয়ক কমিটির প্রধান ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক বহু পুরোনো। দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনেক ভালো। বিএনপি সরকারের সময় বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ এ দেশে করেছে। সম্পর্ক উচ্চমাত্রায় ছিল। বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন মানবাধিকার পরিস্থিতির বিষয়ে রাষ্ট্রদূত জানতে চেয়েছেন। তাদের অনেক ব্যবসা রয়েছে, বিনিয়োগ রয়েছে। এ দেশে সেজন্য তারা উদ্বেগের মধ্যে আছে। সরকার বদল হলেও যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকে সে বিষয়টি জানতে চেয়েছে। বর্তমানে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি, নির্বাচন নিয়ে সবার কনসার্ন রয়েছে। শঙ্কামুক্ত হওয়ার জন্য কূটনীতিকরা জানতে চেয়েছেন এখানে পরিবেশ কেমন, সামনে কেমন হবে। সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি সবাই উদ্বেগ প্রকাশ করছে। সে বিষয়গুলো আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোথায় যাবেন, কোথায় যাবেন না সেটা তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। কিন্তু দেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে, না যাবে সেটা তাদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। একটা জাতি কোথায় যাবে না যাবে তা এক ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেবে না। বাংলাদেশের জনগণ তা সিদ্ধান্ত নেবে।