| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ‘কর্নেল নাজমুল হুদাকে রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান’


‘কর্নেল নাজমুল হুদাকে রক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান’


রহমত নিউজ ডেস্ক     14 May, 2023     10:15 PM    


১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সেনা বিদ্রোহে কর্নেল নাজমুল হুদা হত্যাকাণ্ডে ৪৮ বছর পর তার কন্যা সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য নাহিদ ইজহার খানের মামলার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। কর্নেল নাজমুল হুদা হত্যাকাণ্ডের মামলায় সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে হুকুমের আসামি করায় দলটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বরং জিয়াউর রহমানই নাজমুল হুদাকে রক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আজ (১৪ মে) রবিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা উল্লেখ করেন। এসময় স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে মির্জা ফখরুল করেন, নাহিদ ইজহার খান সম্ভবত তার নিজের মায়ের লেখা বইটাও পড়ে দেখেননি। যেখানে তার মা নীলুফার হুদা লিখিত গ্রন্থ ‘কর্নেল হুদা ও আমার যুদ্ধ’তে (১৩৪ পাতা) স্পষ্টভাবেই লিখে গেছেন কর্নেল হুদাকে হত্যার সময় কী পরিস্থিতি ছিল। সেখানে উপস্থিত মানুষদের জবানবন্দিই প্রমাণ দেয়, সেদিন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান কর্নেল নওয়াজিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন খালেদ মোশাররফ, কর্নেল হুদা এবং মেজর হায়দারকে রক্ষা করার। দায়েরকৃত মামলার বাদী নাহিদ ইজহার খানের মায়ের লিখিত গ্রন্থের ১৩৪ পাতায় সুস্পষ্টভাবে হত্যাকাণ্ডের পেছনে কর্নেল তাহেরের সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে উঠে এসেছে। ১৯৭৫ সালে কর্নেল নাজমুল হুদা রংপুর সেনানিবাসে ব্রিগেড কমান্ডার ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত সামরিক অভ্যুথানের অন্যতম সহযোগী ছিলেন কর্নেল নাজমুল হুদা। অভ্যুথানে সক্রিয় নেতৃত্ব দিতে তিনি ঢাকা আসেন। উল্লেখ্য, খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করতে তাদের নেতৃত্বে তৎকালীন সেনাপ্রধান (পবর্তীতে রাষ্ট্রপতি) মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমানকে গৃহবন্দি করা হয়। মূলত খালেদ মোশাররফ ও তার সহযোগীদের রাজনৈতিক উচ্চাভিলাষের সুযোগে প্রথমত ইতিহাসের নৃশংস জেলহত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। ‘খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের ফলে সেনাছাউনিতে চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। যে সুযোগের অপব্যবহার করে কর্নেল তাহের-ইনু গংয়ের নেতৃত্বে বিপ্লবী সৈনিক সংস্থা ও জাসদ গণবাহিনীর নেতৃত্বে পাল্টা-অভ্যুত্থান সংঘটিত করে সেনাবাহিনীতে সেনা অফিসার-সৈনিক বিরোধ সৃষ্টি করে নির্মম সেনা অফিসার হত্যার সুদূরপ্রসারী দেশি-বিদেশী চক্রান্তে শামিল হয়। যার নির্মম শিকার হচ্ছেন খালেদ মোশাররফের নেতৃত্বে সংঘটিত অভ্যুত্থানের অন্যতম সহযোগী কর্নেল নাজমুল হুদা।

তিনি আরো বলেন, ইতিহাসের নির্মম পরিহাস হচ্ছে, কর্নেল হুদার মেয়ে নাহিদ ইজহার খান যিনি ফ্যাসিস্ট ভোটারবিহীন সংসদের এমপি হিসেবে তার পিতার হত্যাকারী জাসদ-গণবাহিনীর গণবাহিনীর উপপ্রধান হাসানুল হক ইনু এবং কর্নেল তাহেরের ভাই ওয়ারেসাত হোসেন বেলাল একই সংসদের এমপি হিসেবে গলা ফাটাচ্ছেন। আর নিজের পিতার হত্যার হুকুমের আসামি করেছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে যিনি তার পিতাকে বাঁচানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বস্তুত নাহিদ ইজাহার খান শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তার পিতার হত্যার হুকুম দাতা হিসেবে মামলা দায়ের করেছেন বর্তমান আওয়ামী গোষ্ঠীর একজন ক্রীড়াণক হিসেবে। এর পেছনে রয়েছে সুদূরপ্রসারী রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র। যার প্রধান কারণ হচ্ছে চলমান ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন থেকে দেশি-বিদেশি গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ঘোরানো।’ এই সরকারের তরফে আগামীতে এ ধরনের যড়যন্ত্র চলমান থাকবে। বিশেষ করে সরকার পতনের সময়কাল যত এগিয়ে আসবে জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির বিরুদ্ধে এধরনের ষড়যন্ত্রের মাত্রা আরো বাড়বে।