| |
               

মূল পাতা রাজনীতি বিএনপি ‘নতুন ইসি গঠন করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে’


‘নতুন ইসি গঠন করে সব দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     19 April, 2023     04:48 PM    


জনগণের ঐক্য ও দুর্বার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই অবৈধ সরকারকে বাধ্য করতে হবে, সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে খালেদা জিয়াসহ বন্দি নেতা-কর্মীদের মুক্তি, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানসহ সব নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে রুজুকরা মামলা প্রত্যাহার, অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর, নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। এটাই জনগণের দাবি।

আজ (১৯ এপ্রিল) বুধবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপাসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। গত ১৭ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার দিকে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভায় স্থায়ী কমিটির ৯ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।

সভার সিদ্ধান্তগুলো বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, সভায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও ডা. জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় চার্জ গঠন এবং বিচার শুরু করায় ক্ষোভ ও নিন্দা প্রকাশ করা হয়। সভা মনে করে বিরোধীদলকে নির্মূল করার নীল নকশার অংশ হিসেবে ১/১১ অবৈধ সরকারের সঙ্গে যোগসাজশে গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার শত্রুরা পরিকল্পিতভাবে জিয়া পরিবারের সব সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, প্রহসনমূলক বিচার এবং ফরমায়েশি রায় দিয়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার হীন চক্রান্ত করে আসছে। প্রকৃতপক্ষে অবৈধ সরকার বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন একটি এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। শুধু জিয়া পরিবাররই নয় বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, গণতন্ত্রকামী বিরোধী দলের প্রায় ৪০ লাখ নেতা-কর্মী ও সমর্থনকারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও গায়েবি মামলা, গ্রেপ্তার, কারাগারে নির্যাতন, হত্যা, গুম ও খুনের মাধ্যমে সারাদেশে ভয়ের রাজত্ব সৃষ্টি করছে তারা।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সভায় বঙ্গবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে, একই সঙ্গে অবৈধ সরকারপ্রধান শেখ হাসিনাসহ সরকারের মন্ত্রীরা বিএনপিকে দোষারোপ করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ উদঘাটন না করে বিরোধী দলের প্রতি আঙ্গুল তোলা ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর কৌশল বলেও অভিহিত করা হয়।  দায়িত্বপ্রাপ্ত দপ্তর ও সংগঠনগুলোর তদারকির অভাব, সীমাহীন উদাসীনতা এবং দুর্নীতির কারণেই পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। অবিলম্বে দোষারোপ পরিত্যাগ করে নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত কারণ নির্ণয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সভায় আগামী ১ মে আর্ন্তজাতিক শ্রমিক দিবস পালনের জন্য শ্রমিক দলকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।