| |
               

মূল পাতা রাজনীতি অন্যান্য ‘এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে’


‘এই সরকারের আমলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে’


রহমত নিউজ ডেস্ক     17 April, 2023     08:36 PM    


বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, এই সরকারের আমলে যে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না, তা ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়ে গেছে। সর্বশেষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও যশোরে ১০ ভাগ মানুষও ভোট দিতে চায়নি। তারা এক মাগুরা নির্বচনের জন্য তত্ত্বাবধায় সরকারের দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু এখন মাগুরার মতো অসংখ্য নির্বাচন হচ্ছে। তবু তারা বলছে, দলীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। গণবিরোধী সরকারকে জনগণ ক্ষমতায় দেখতে চায় না।  মানুষ আজ পরিবর্তন চায়। তারা রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণ অবৈধ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

আজ (১৭ এপ্রিল) সোমবার সন্ধ্যায় শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব লায়ন ফারুক রহমানের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, দৈনিক নয়াদিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান জোহরা খাতুন জুইঁ, ডিইউজে সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, পিপলস লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট গরীবে নেওয়াজ, গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসেন, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, যুগ্ম-মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম প্রমুখ।

নজরুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ কোনো রাজনৈতিক সংস্কতির ধার ধারে না, বিএনপি যেদিনই কর্মসূচি দেয়, সেদিনই পাল্টা কর্মসূচি দেয় আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশের মাধ্যমে অশান্তি সৃষ্টি করছে তারা। প্রতিটি সমাবেশ থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করা হয়। পরে হামলায় আহতদের বিরুদ্ধেই মামলা দেওয়া হয়। এসব আওয়ামী লীগের দেউলিয়াত্বের প্রমাণ দিচ্ছে। আওয়ামী লীগ সব সময় উন্নয়নের কথা বলে। কিন্তু তাদের উন্নয়ন হচ্ছে গুটিকতেক মানুষের উন্নয়ন। করোনার সময়ে দেশে ১২ হাজার নতুন কোটিপতি তৈরি হয়েছে। এদের উন্নয়ন করছে সরকার। আর সাম্প্রতিক সময়ে দেশে নতুন করে দরিদ্র সীমার নিচে নেমেছে সাড়ে তিন কোটি মানুষ। সরকার এই সাড়ে তিন কোটি মানুষের নয়। এই মানুষেরা সরকার পরিবর্তন চায়।