চীনের সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়েছে : পুতিন

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়েও আলোচনা হয়েছে, আমরা যখন আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করি, তখন আমরা উল্লেখ করেছি চীন ও রাশিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক ক্ষেত্রে খুব কাছাকাছি।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, রাশিয়া সফররত চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও দেশটির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে, সোমবার যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, ইউক্রেনকে চ্যালেঞ্জার-টু ট্যাংকসহ এমন ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র পাঠানো হবে।

পুতিন বলেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ অবসানের ভিত্তি হতে চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা। কিয়েভ ও পশ্চিমারা যখন রাজি থাকবে তখন এই সমাধান সম্ভব। তিনি ও চীনা প্রেসিডেন্ট নিজেদের মধ্যে একান্ত বৈঠকে বেইজিংয়ের শান্তি প্রস্তাব মনোযোগ দিয়ে আলোচনা করেছেন। চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার বেশ কয়েকটি দফা আমরা বিশ্বাস করি।

পুতিন বলেন, বিশ্বের অনেক অঞ্চলে উত্তেজনা, সংঘাত ও সম্ভাব্য সংকট বাড়ছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ বিস্তৃত হচ্ছে। সামরিক, রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক সুবিধা আদায়ের জন্য অপর দেশের স্বার্থে ব্যাঘাত ঘটানোর বিরুদ্ধে রাশিয়া ও চীন। যুক্তরাজ্য যদি ইউক্রেনকে ক্ষয়প্রাপ্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ অস্ত্র পাঠায় তাহলে রাশিয়া বাধ্য হবে পাল্টা পদক্ষেপ নিতে।

যৌথ ঘোষণা পাঠের সময় পুতিন বলেন, চীনের সহযোগিতায় রাশিয়ার অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও অর্থনীতি। রাশিয়ার শীর্ষ বৈদেশিক বাণিজ্যিক অংশীদার হলো চীন। দুই দেশে অর্থ, পরিবহন ও লজিস্টিকস খাতে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করবে। গ্যাস বাণিজ্যও বাড়ছে দুই দেশের। রাশিয়া ও চীন পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। চীনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করছে রাশিয়া।