| |
               

মূল পাতা জাতীয় ‘শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারে এমন কোন চাপ নেই’


‘শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারে এমন কোন চাপ নেই’


রহমত নিউজ ডেস্ক     13 March, 2023     09:01 PM    


আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের কথাও পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আপনাদের একটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে যে শেখ হাসিনাকে চাপ দিতে পারে এমন কোন চাপ নেই। কারণ আমার শক্তি একমাত্র আমার জনগণ, আর উপরে আল্লাহ আছেন। আর আমার বাবার আশির্বাদের হাত আমার মাথায় আছে। কাজেই কে কি চাপ দিলো, না দিলো- এতে আমাদের কিছু আসে যায় না। জনগণের স্বার্থে যেটা করার আমরা সেটাই করবো। জনগণের কল্যাণে যে কাজ করার সেটাই করবো। এরকম বহু চাপ তো ছিলই। পদ্মা সেতুর আগেতো কম চাপ দেয়া হয়নি। কোন একটা দেশের রাষ্ট্রদূত এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী থেকে শুরু করে, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে টেলিফোনের পর টেলিফোন এসেছে। হেনো তেনো কারণেও টেলিফোন। একজন ভদ্রলোক একটি ব্যাংকের এমডি, তাকে এমডি পদে রাখতে হবে। আর এই এমডি পদে কি মধু, তাতো আমি জানি না।

আজ (১৩ মার্চ) সোমবার গণভবনে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি৫) ৫তম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতার সফরের পর আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘বিএনপি বিদেশিদের কাছে দেন দরবার করছে বা একটি বিদেশি প্রভাবশালী পত্রিকায় ড. ইউনুসকে নিয়ে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত ৪০ বিশিষ্ট ব্যক্তির বিবৃতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি কোন চাপ অনুভব করছেন কিনা বা আন্তর্জাতিক কোন চাপ তাঁর অথবা সরকারের ওপর রয়েছে কিনা’- এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইসানুল করিমের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনের মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী।এর আগে ৪ থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত স্বল্পোন্নত দেশসমূহের (এলডিসি ৫ : সম্ভাবনা থেকে সমৃদ্ধি) ৫ম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগদানের পর কাতারের রাজধানী দোহা থেকে দেশে ফিরে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইনে নেই, তবু ৭০ বছর বয়স হয়ে গেলেও, এমডি পদে তাকে থাকতে হবে। এতে একটাই হয় যে, এমডি পদে থাকলে বোধ হয় মানি লন্ডারিং করা যায়, এটাই সুবিধা। পয়সা বানানো যায়, পয়সা মারা যায়, গরিবের রক্ত চুষে খাওয়া যায়। তো সেই চাপও কিন্তু শেখ হাসিনা সহ্য করে চলে এসেছে এবং তারপরেও নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু করে দেখালাম সেই চাপে আমাদের কিছু আসে যায় না। দেশে কতগুলো আইন আছে। সে আইন অনুযায়ী সব চলবে এবং সেটা চলে। আমাদের বিচার বিভাগ স্বাধীন। শ্রমিকদের অধিকার আমরা রক্ষা করি, ট্যাক্স বিভাগ আছে আলাদা। তারা সেটি আদায় করে। কেউ যদি আইন ভঙ্গ করে, শ্রমিকের অধিকার কেড়ে নেয়, শ্রম আদালত আছে। এই ক্ষেত্রে আমার তো কিছু করার নেই সরকার প্রধান হিসেবে। পদ্মা সেতু কিন্তু করে ফেলেছি, এটুকুই সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলাম।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা বিবৃতি না, এটা একটা বিজ্ঞাপন। যে ৪০ জনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে একজন বিশেষ ব্যক্তির পক্ষে, এর উত্তর কী দেবো, জানি না। আমার একটা প্রশ্ন আছে, যিনি এত নামিদামি নোবেল প্রাইজপ্রাপ্ত, তারজন্য এই ৪০ জনের নাম খয়রাত করে এনে বিজ্ঞাপন দিতে হবে কেন ? তাও আবার বিদেশি পত্রিকায়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও চেষ্টা হচ্ছে। কিন্তু আমি মনে করি, আমি বিশ্বাস করি, এটা কেউ কিছু করতে পারবে না। হয়তো সাময়িক কিছু একটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। কিন্তু সেটা মোকাবেলা করবে আমাদের দেশের জনগণই। প্রায় দেড় ঘন্টাব্যাপী এই সংবাদ সম্মেলনে কাতার সফরের বিষয়বস্তু ছাড়াও আগামী নির্বাচন,সংলাপ,কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের দৌঁড়ঝাপ, নানামুখী অপতৎরতা, গুজব রটানো, দেশকে অস্থিতিশীল করার প্রচেষ্টা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে স্থিতিশীল গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তাসহ সাংবাদিকদের নানামুখি প্রশ্নের জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী।