রহমত নিউজ ডেস্ক 13 March, 2023 09:09 PM
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, যারা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিখতে দেবে না, তারা তো দেখি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বেশি ব্যবহার করে। ফেসবুকে মিথ্যাচার তারাই তো বেশি করে। মানুষ একসময় হেঁটে ও উটের পিঠে চড়ে হজ করতে যেত, এখন তো আমরা বিমানে যাই। তাহলে কি বিমানে যাওয়া বন্ধ করে দেবো? আমরা মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দেবো? পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলে উঠব না? আমার মাদরাসার শিক্ষার্থী ডাক্তার হবে না, ইঞ্জিনিয়ার বৈমানিক হবে না? বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিষয়গুলো পড়ানোর বিরোধীতাকারী ও জঙ্গিবাদের প্রশ্রয়দাতারা মাদরাসা শিক্ষার্থীদের ভিক্ষুক বানাতে চায়, দেশকে ভিক্ষুক বানাতে চায়। মাদরাসা শিক্ষার্থীরা কি বিজ্ঞান প্রযুক্তি পড়বে না? শুধু কি নামাজ পড়াবে আর নিজে একটি করে মাদরাসা তৈরি করবে? আমরা দেশকে ভিক্ষুকের দেশ থাকতে দিতে পারি না।
আজ (১৩ মার্চ) সোমবার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের আয়োজনে শিক্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে মাদরাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক হাবিবুর রহমান, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কায়সার আহমেদ, স্বাধীনতা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মো. নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মো. তেলাওয়াত হোসেন খান ও শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, পাশের দেশের ছবি দিয়ে, ফটোশপ করে বলা হলো— এটা আমাদের বাচ্চাদের পড়ানো হচ্ছে। যে বই আমাদের দেশে পড়ানোই হয় না, অথচ একেবারে কদর্য ভাষায় মিথ্যাচার। আপনারা বলুন, মিথ্যাচার কি ইসলাম সমর্থন করে? শিক্ষক এবং মন্ত্রীকে কদর্য ভাষায় আক্রমণ ও হুমকি দেওয়া এর কোনোটাই কি ইসলাম সমর্থন করে? ভুল থাকলে সংশোধন করব। যেখানে ভুল পেয়েছি সেখানে সংশোধন করেছি, আরও ভুল থাকলে সংশোধন করব। এ ব্যাপারে কমিটি গঠন করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ২৬টি বই তৈরি করা সহজ কাজ নয়।
তিনি আরো বলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যে জ্ঞান তা হঠাৎ করে এসে পড়েছে না কি শিখতে হয়েছে? আল্লাহ প্রত্যেককে একটি সুপার কম্পিউটার (মস্তিষ্ক) দিয়েছে, সেটি কাজে লাগাব না? এটি যে ব্যবহার করব না, এই কথা যারা বলে তাদের চেয়ে বড় ইসলামের শত্রু আর হতে পারে না। আল্লাহ প্রথম কথা বলেছেন— পড়ো। আর এরা পড়তেই মানা করে, শিখতেই মানা করে। উনারা যা শেখাবার চেষ্টা করছেন তা হলো বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ভিক্ষুকের জাতিতে পরিণত করতে। আমরা বাঙালিকে কখনও ভিক্ষুকের জাতি থাকতে দিতে পারি না। সে জাতিকে এগিয়ে নিতে চাই। যারা আমাদের দেশকে ভিক্ষুক করে রাখতে চায়, যারা দেশের অগ্রগতিকে রুখতে চায়, যারা জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিতে চায় সেরকম লোককে আমরা কখনই ভাবতে পারি না যে তারা ইসলামের সেবক। কাজেই আপনারা সোচ্চার হবেন। আমাদের নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে, বাস্তবায়ন করা অনেক শক্ত। এক্ষেত্রে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই।