রহমত নিউজ ডেস্ক 11 January, 2023 06:33 PM
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্থগিত জাপান সফর আগামী এপ্রিলে হতে পারে। শেখ হাসিনার সঙ্গে জাপানের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূতের বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতা লেখক এম. নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি আজ প্রধানিমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তাঁেক মার্চ অথবা এপ্রিলে জাপান সফরের প্রস্তাব দেন। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৯ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান সফরের কথা ছিল। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকায় মেট্রোরেল নির্মাণে সহযোগিতা দেয়ার জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানিয়ে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের অন্যান্য লাইন নির্মাণে জাপান তার সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। মেট্রো রেল ব্যাপক জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী এশীয় দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সবচেয়ে ভালো বিনিয়োগ সুবিধা প্রদান করছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি কক্সবাজারের সাবরাং পর্যটন বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে জাপানি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন।
সেই অর্থনৈতিক অঞ্চলের সমুদ্র সৈকত ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেয়ার জন্য জাপানের প্রতি আমন্ত্রণ জানিয়ে তিনি বলেন, সাবরাং পর্যটন স্পটটি শুধুমাত্র বিদেশী পর্যটকদের জন্য উৎসর্গীকৃত। বাংলাদেশের ভৌগোলিক সুবিধার কথা উল্লেখ করেন, বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের আশপাশে থাকা এ অঞ্চলের ৩৫০ কোটি মানুষের বিশাল বাজারের সুবিধা নিতে পারে। ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের জন্য জাপানকে ধন্যবাদ জানান, আর এ টার্মিনালের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব একটি জাপানি কোম্পানিকে দেয়া হবে। স্বাধীনতার পর থেকে জাপান বাংলাদেশের অন্যতম সেরা বন্ধু। জাপান তার এবং তার পরিবারের সদস্যদের কাছেও প্রিয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তার ছোট মেয়ে শেখ রেহানা ও ছোট ছেলে শেখ রাসেলকে নিয়ে ১৯৭৩ সালে জাপান সফর করেছিলেন।
জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বিদ্যমান দীর্ঘদিনের সম্পর্কের উল্লেখ করে জাপানের রাষ্ট্রদূত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে পরবর্তী পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, "ভবিষ্যত সম্পর্ক হবে কৌশলগত সম্পর্ক।২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার আকাঙ্খা বাস্তবায়নে জাপানের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। দ্বিপাক্ষিক ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়াতে জাপান-বাংলাদেশ কাঠামোর কার্যক্রম জোরদার করতে কাজ করবেন। তিনি দুটি দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের পাশাপাশি বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আনতে কাজ করবেন। বাংলাদেশ চায় যে, রোহিঙ্গারা তাদের নিজ দেশে ফিরে যাবে। জাপান দ্বিপাক্ষিক এবং আসিয়ান ফোরামের মাধ্যমে বিষয়টিতে গুরুত্ব আরোপ করবে। তার দেশ কক্সবাজার ও ভাসানচরে মানবিক কার্যক্রম জোরদার করবে এবং এ লক্ষ্যে জাইকা ইউএনএইচসিআর-এর সাথে কাজ করছে। কিছু জাপানি এনজিওকে এসব ক্ষেত্রে কাজ করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ শহর এবং জাপানের নারুতো শহরের মধ্যে সহায়তা জোরদার করার জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।