মূল পাতা আরো পাঠকের কলাম ‘জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও আমার তিক্ত অভিজ্ঞতা’
শহিদুল ইসলাম কবির 25 December, 2022 12:10 PM
সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য ১৯৭১ এ মহান মুক্তিযুদ্ধ ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন স্বার্বভৌম বাংলাদেশ আমরা পেয়েছি। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার বাবাও জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছিলেন। স্বাধীন বাংলাদেশে চোর, দুর্নীতিবাজ, ভোটচোরদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আমিও বাবা পথ ধরে প্রতিবাদ করা থেকে বিরত থাকতে পারছি না। এর ধারাবাহিকতায় অসুস্থতা নিয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আমাকে প্রতিবাদ করতে হচ্ছে।
ঘটনার পেছনে বলতে গেলে বলতে হচ্ছে- শরীরে অতিরিক্ত উচ্চ রক্তচাপের কারণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তার সাথে ২১ ডিসেম্বর পরামর্শ করি। তিনি আমাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি হতে পরামর্শ দেন এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেন। আমি ২২ ডিসেম্বর ঐ কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাৎ করলে তিনি আমার শারিরীক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। বেলা ৩টায় আমার জন্য নির্ধারিত সিটে অবস্থান নেই। সেই থেকে ২৩ ডিসেম্বর দুপুর১২ টা পর্যন্ত ওয়ার্ডের কোন দায়িত্বশীল বা তত্ত্বাবধায়ক আমার রক্তচাপ পরীক্ষা করেননি।
আমি উল্লেখিত বিষয়গুলো গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থাকে অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে ৩ জন চিকিৎসক আমার বেডে এসে আমার সঙ্গে কথা বলেন। তখন রক্তচাপ চেক করার কথা বললে ওয়ার্ডে কর্তব্যরত নার্স এর সরবরাহ করা বিপি মেশিন দিয়ে উচ্চ রক্তচাপ পরীক্ষা করে দেখা যায় রক্তচাপ ১৮০/১২০। এসময় চিকিৎসক বললেন আজকে শুক্রবার আপনাকে দেখতে এসেছি, ল্যাব এইড ও ইউনাইটেড হাসপাতালে এটা পাবেন না।
নতুন রোগীর জন্য অনেক বলার পরে সন্ধ্যা ৬ টার পরে বেডে বিছানার চাদর দিয়েছে। অনেক বলার পরেও বালিশের কভার দেয়নি। অপর রোগীর ব্যবহার করা বালিশের কভারে নতুন রোগীকে থাকতে হচ্ছে। বালিশের কাভারের বিষয়ে কর্তব্যরত নার্সকে বললে তিনি নতুন বালিশ কিনে আনতে বললেন। সুন্দর বাথরুম থাকলেও অধিকাংশ বাথরুমের ভেতরে ছিটকানি নেই।
সরকারের পেইং ওয়ার্ডে এমন অবজ্ঞা ও অবহেলার জন্য দায়ী কারা? তাদের বিষয়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই প্রতিষ্ঠানটি আরো উন্নত সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান হতে পারে। আমার বিশ্বাস জাতীয় গণমাধ্যম ও গোয়েন্দা সংস্থা এসকল সেবার বিষয়ে একটু তদারকি করলে হাসপাতালে ভুল চিকিৎসা ও অবহেলায় মৃত্যুর হার শুণ্যের কোঠায় নেমে আসবে।
লেখক : সভাপতি, ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ