মূল পাতা আরো পাঠকের কলাম ওয়াজের বিনিময়ের চুক্তির কথা তো ভাবাই যায় না
মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী 07 December, 2022 11:20 AM
স্বাভাবিক প্রশ্ন হলো, ওয়াজ করে টাকা নেয়া জায়িয কিনা? এর স্বাভাবিক জাওয়াব হলো, ওয়াজ করার আগে বা পরে রাহ খরচ বাবদ কিছু দিলে তা নেয়া যায়। এতে অসুবিধা নেই। তবে যদি কেউ সেটাও না নিতে চান, তাহলে তা বড় ইখলাস ও কুরবানী হবে।
যাত্রাবাড়ীর জামিয়া মাদানিয়ার মুহতামিম মাওলানা মাহমূদুল হাসান সাহেব, মোহাম্মদপুর জামিয়া রাহমানিয়ার শাইখুল হাদীস মুফতী মনসূরুল হক সাহেব প্রমুখ উলামা হযরতগণ এভাবেই ইখলাসের সাথে ওয়াজ করেন। তারা ওয়াজ করে কখনো টাকা কামাই করেন না বা টাকা দিলেও নেন না।
অবশ্য যারা ওয়াজের জন্য নিজেদেরকে সর্বতোভাবে নিবেদিত করেছেন, তারা সময়কে সেখানে আবদ্ধ করার কারণে রোজগারের জন্য সময় পান না, তাদের জন্য যাতায়াত খরচের বাইরে স্বাভাবিক জীবিকা নির্বাহের জন্য কিছু হাদিয়া দেয়া হলে তা নেয়াকে অনেকে বিশেষ বিবেচনায় জায়িয বলেন। আবার অনেকে তাকে নাজায়িয বলেন এ ভিত্তিতে যে, খালিস দ্বীনী দাওয়াতে কোন লেনদেন হতে পারে না।
কিন্তু টাকার চুক্তি করে ওয়াজ করার কথা তো কল্পনাও করা যায় না। কখনো ভাবা যায় না যে, টাকার চুক্তি করে ওয়াজ করা জায়িয কিনা সেই ফাতওয়া তলব করা হবে। কেননা, বিষয়টি বড়ই লজ্জাকর দাওয়াতের জন্য, দাঈর জন্য, উলামায়ে কিরামের জন্য এবং বড়ই বিব্রতকর সাধারণ জনগণের জন্য।
লেখক: সম্পাদক, মাসিক আদর্শ নারী