মহানগর ডেস্ক 05 December, 2022 05:22 PM
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান এমপি বলেছেন, অনেকে বলেন দুর্ঘটনা বেড়েছে। আমি বলি, দুর্ঘটনা বাড়েনি বরং কমেছে। ওনারা বাড়ার হিসাব দেন। কিন্তু ১০ বছর আগে যে গাড়ির সংখ্যা ছিল, আজকে কি তা আছে? তাহলে বিষয়টা কি? এখন যত রাস্তা তা কি আগে ছিল? তাহলে ওই হিসাব যদি ধরেন তাহলে জনসংখ্যা বেড়েছে, গাড়ি বেড়েছে, রাস্তা বেড়েছে। গাড়ি আর জনসংখ্যার হিসাব করলে দেখবেন দুর্ঘটনা আগের চেয়ে কমেছে।
আজ (৫ ডিসেম্বর) সোমবার বিকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী। বার্ষিক প্রতিবেদন পেশ করেন সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।
শাজাহান খান বলেন, রাস্তার অধিকাংশ গতিরোধকে (স্পিড ব্রেকার) রঙ নেই, চুন নেই। ওটা তো স্পিড ব্রেকার নয়, স্প্রিং বেকার। উঠলেই জাম্প করে। এছাড়া রাস্তায় মার্জিন থাকে না। এরকম ত্রুটি সড়ক থেকে দূর করতে হবে। এছাড়া দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক নির্মাণে প্রকৌশলগত ত্রুটি দূর করতে হবে। আমরা একটি কথা বার বার বলি, বড় বড় স্পর্শকাতর কিছু দুর্ঘটনা আছে, সেই দুর্ঘটনাগুলো শুধুমাত্র পুলিশ দিয়ে তদন্ত করলে হবে না। পুলিশের তদন্তে সমস্ত দায়ভার চালকদের ওপর বর্তায়। কি বলে? বেপরোয়া গাড়ি চালিয়েছে সেই কারণে। আরেকটি হলো- হয় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়নি, আর না হয় চালকদের ওপর দোষ চাপিয়ে দেয়। তাই শুধুমাত্র পুলিশ দিয়ে এ সমস্ত দুর্ঘটনার তদন্ত হবে না।
নিরাপদ সড়ক চাই-নিসচার প্রতিষ্ঠাতা চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, একজন লোক (ইলিয়াস কাঞ্চন) আছেন, নিরাপদ সড়ক চান। ভালো, আমরাও তো চাই। তিনি একবার বললেন বিএ পাস শ্রমিক লাগবে। বিএ পাস ছাড়া ড্রাইভার হতে পারবে না। আবার বললেন, যদি কেউ দুর্ঘটনা ঘটায়, তাহলে প্রাকশ্যে পাঁচটি বেত্রাঘাত করতে হবে। আমরা কি বর্বর যুগে আছি? আবার কি বললেন, ১৪ বছরের নিচে কোনো সাজা দেওয়া যাবে না। তিনি এই বঙ্গে আছেন কি না আমি জানি না। বাংলাদেশের মানুষের মানসিকতা, বাংলাদেশের আবহাওয়া, আমাদের অর্থনীতির অবস্থা, সামাজিক অবস্থা মনে হয় তিনি জানেন না। এজন্য এই সমস্ত কথাবার্তা বলেন। তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মৃত্যুর পরে এমন অবস্থার সৃষ্টি হলো যে তাৎক্ষণিকভাবে ওই চালককে ফাঁসি দিতে হবে। এছাড়া হাইকোর্ট মোটা অংকের জরিমানা শুরু করলেন। যেমন- তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের ঘটনায় মালিক ও ড্রাইভারকে চার কোটি ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করলেন। আরেকটি মামলায় মালিক এবং ড্রাইভারকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা করা হলো। আর ১০ থেকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানার ঘটনা তো অনেক আছে। এই পরিস্থিতিতে মালিক এবং শ্রমিকরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেন। এখন হাইকোর্ট আর এই ধরনের জরিমানা করেন না।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: রাজশাহী