বিশ্বজুড়ে করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু কমেছে

মহামারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু ও নতুন করে শনাক্তের হার দুটোই কমেছে গত ২৪ ঘণ্টায়। এ সময় বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৯০৩ জন। একই সময়ে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৮৩ হাজার ১২১ জন।

শনিবার (৩ ডিসেম্বর) সকালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

ওয়ার্ল্ডোমিটারসের তথ্যানুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে ৩৮৯। নতুন মৃত্যু নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬৬ লাখ ৪৪ হাজার ৪৬৯ জনে। একই সময়ে আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে এক লাখ ২০ হাজারেরও বেশি। নতুন শনাক্ত নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬৪ কোটি ৯১ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৪ জনে। নতুন করে সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থের সংখ্যা পৌঁছেছে ৬২ কোটি ৬৬ লাখ ২ হাজার ৬৭৫ জনে।

বর্তমানে সংক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক কোটি ৫৯ লাখ ২৭ হাজার ৭৮০ জন। এর মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় রয়েছেন ৩৭ হাজার ৭০ জন।

এ দিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে জাপানে। এ সময় দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজার ৯২৮ জন। সংক্রমণের দিক থেকে এর পরেই রয়েছে ফ্রান্স, উত্তর কোরিয়া, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র।

অন্যদিকে দৈনিক প্রাণহানির তালিকায়ও শীর্ষে রয়েছে জাপান। দেশটিতে নতুন করে মারা গেছে ১৯৭ জন। নতুন মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে মোট মারা গেছে ৫০ হাজার ১৩ জন। আর সর্বোচ্চ প্রাণহানি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রে। নতুন ১৪৯ মৃত্যু নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৬ হাজার ৬০৭ জনে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। গেল বছরের ৫ ও ১০ আগস্ট দুদিন সর্বাধিক ২৬৪ জন করে মারা যান।

এর আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ২০২০ সালের ১১ মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করে।