দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে : চুন্নু

জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, দেশের মানুষ ৩২ বছর ধরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির অত্যাচার, নির্যাতন, দুর্নীতি ও দলীয়করণে অতিষ্ঠ হয়ে গেছে। মানুষ আওয়ামী লীগ- বিএনপির বাইরে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় চায়, সেটি হলো জাতীয় পার্টি। দেশের মানুষ মুক্তির জন্য জাতীয় পার্টির দিকে তাকিয়ে আছে। আমরা ৩০০ আসনেই নির্বাচন করতে প্রস্তুতি নিচ্ছি।

আজ (৩ ডিসেম্বর) শনিবার দুপুরে রাজবাড়ী পৌরসভা মিলনায়তনে জেলা জাতীয় পার্টির সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজবাড়ী জেলার সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান খান মমিনের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তব্য দেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য নাজমা আক্তার, দলের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম তালুকদার ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হেলাল উদ্দিন। সম্মেলনে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে পুনরায় অ্যাডভোকেট খন্দকার হাবিবুর রহমান বাচ্চুকে রাজবাড়ী জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও মোকছেদুর রহমান খান মমিনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব চুন্নু।

চুন্নু বলেন, শিক্ষিত-অশিক্ষিত মিলিয়ে বাংলাদেশে বর্তমানে পাঁচ কোটি মানুষ বেকার। এখন দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা এই বেকারত্ব। কিন্তু বেকারদের নিয়ে আওয়ামী লীগ-বিএনপির কোনো চিন্তা নেই। তাদের চিন্তা শুধুমাত্র ক্ষমতা নিয়ে। আওয়ামী লীগ চিন্তা করছে কিভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়। আর বিএনপি চিন্তা করছে কিভাবে ক্ষমতায় আসা যায়। সভা-সমাবেশ মানুষের সাংবিধানিক অধিকার। বর্তমান সময়ে বিএনপির অভিযোগ, সরকার সমর্থকরা তাদের সভা-সমাবেশ করতে দিচ্ছে না। সরকার সমর্থকদের হামলা ও মামলায় নাকি তারা বিপর্যস্ত। আমরা মানুষের সাংবিধানিক অধিকারে বিশ্বাস করি। আমরা বাধাহীনভাবে সভা-সমাবেশ করার পক্ষে।

তিনি আরো বলেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির হামলায় জাতীয় পার্টি কোনো সভা-সমাবেশ করতে পারেনি। বিএনপি কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশও অমানবিক অত্যাচার করেছে জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ওপর। বিএনপির হামলা ও মামলা এখনও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ভুলে যায়নি। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আবার বিএনপি ক্ষমতায় গিয়ে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানাবে বা হাওয়া ভবন সৃষ্টি করবে সেটাও দেশের মানুষ চায় না। কারণ আওয়ামী লীগ ও বিএনপির আদর্শগত পার্থক্য থাকলেও, চরিত্রগত কোনো পার্থক্য নেই।