মহানগর ডেস্ক 29 November, 2022 07:15 PM
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আগামী ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের জন্য বিএনপিকে যেখানে সমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে— সেখানেই (সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) সমাবেশ করতে হবে। দেশে সরকার আছে, আইন আছে। আইন মেনে চলতে হবে। নিজের ইচ্ছা মতো চলার কোনো সুযোগ নেই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যেতে বিএনপি-জামায়াতের মধ্যে আতঙ্ক কাজ করে। কারণ একাত্তরের পরাজিত শক্তি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আত্মসমর্পণ করেছিল। ডিসেম্বর মাস, বিজয়ের মাস। বিএনপি এই মাসে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গিয়ে তাদের কলঙ্কের কালিমার কথা স্মরণ করতে চায় না। বিএনপি নেতারা জোশের কারণে হুঁশ হারিয়ে ফেলছে। একটা কথাই বলবো—বেশি জোশে বেহুঁশ হবেন না।
আজ (২৯ নভেম্বর) মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে, আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও ৭ ডিসেম্বর কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার জনসভাকে সফল করার লক্ষ্যে—আওয়ামী যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ। সঞ্চালনা করেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের সমালোচনা করে হানিফ বলেন, মির্জা ফখরুল শিক্ষকতা পেশায় ছিলেন। শিক্ষকরা চমৎকারভাবে বুঝিয়ে পড়াতে পারেন। কিন্তু মির্জা ফখরুল চমৎকারভাবে মিথ্যা যেভাবে বলেন বাংলাদেশে এরকম আর কেউ আছে বলে মনে হয় না। মিথ্যাচারে বিএনপি নেতাদের জুড়ি মেলা ভার। বিএনপি নেতারা প্রায়শই মিথ্যাচার করে বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি-জামায়াত রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে দেশকে কিছু দিতে পারেনি। এদের কাজই হচ্ছে মিথ্যাচার করা। দেশের মানুষ আর কখনো পেছনে ফিরে যেতে চায় না, মানুষ বাংলাদেশকে আর উগ্রবাদ, মৌলবাদের চারণভূমি দেখতে চায় না। মানুষ বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে যেতে চায়। দেশকে পিছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে বাংলাদেশের জনগণ আপনাদেরকে আগামী নির্বাচনে আস্তাকুঁড়ে ফেলবে।
তিনি আরো বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতির ভয়াবহ মন্দার প্রভাব বাংলাদেশে পড়েছে। দুই বছর করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে, জিনিসপত্রের দাম হুহু করে বেড়েছে। ইংল্যান্ড, জার্মানি, ইতালি, ফ্রান্স এমনকি যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যেকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে দুর্যোগ চলছে। যুক্তরাজ্যে পরপর দু’বার প্রধানমন্ত্রী পরিবর্তন হয়েছে। বৈশ্বিক সংকটের এই প্রভাব বাংলাদেশেও লেগেছে। যার কারণে আমাদের দেশেও জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। বাংলাদেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সংকট কাটিয়ে উঠবে, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার সময়ে দেশে ৬০ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য ঘাটতি ছিল। মাত্র তিন বছরের মাথায় আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। ৮ বিলিয়ন ডলার ছিল রফতানি আয় আর এখন প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে। শতভাগ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গিয়েছে। শেখ হাসিনার কারণে আজ আমাদের ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: চট্টগ্রাম