রহমত নিউজ ডেস্ক 28 November, 2022 01:49 PM
আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার ৫১ বছরেও মুক্তিযুদ্ধের সে লক্ষ্য প্রতিষ্ঠিত হয়নি। মুক্তিযুদ্ধের মহান লক্ষ্য প্রতিষ্ঠার থেকে দূরে সরে সরকার মুক্তিযুদ্ধের কথা বলে ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দিয়ে ৯২% মুসলমানদের দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষা নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। মুক্তিযুদ্ধের পরে রচিত ৭২-এর সংবিধান রক্ষায় আমরা মুক্তিযুদ্ধ করিনি। মুক্তিযুদ্ধ করেছি সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এখন মুক্তিযুদ্ধের মূল লক্ষ্য বাস্তবায়ন না করে ৭২-এর সংবিধানের দোহাই দিয়ে সংবিধান থেকে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস তুলে দিয়ে এখন আবার রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেবার চক্রান্ত চলছে। শিক্ষা থেকে ইসলামী শিক্ষা তুলে দেবার আয়োজন চুড়ান্ত করেছে। এগুলো মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেয়া মুক্তিযোদ্ধারা মেনে নিবে না। ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা এবং ইসলামী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে রাজপথে নামতে বাধ্য হবে।
আজ (২৮ নভেম্বর) সোমবার চরমোনাই মাদরাসা মিলনায়তনে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের মতবিনিময় সভায় মুক্তিযোদ্ধারা এসব কথা বলেন। ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াদুদের সভাপতিত্বে ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম পরিষদ সভাপতি শহিদুল ইসলাম কবিরের পরিচালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক ও ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা পরিষদের সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এমদাদ হোসেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রচার ও দাওয়াহ বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মুফতী মোস্তাফিজুর রহমান, মুহাম্মাদ রেজাউল করীম, মোঃ শাহাদুজ্জামান, মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও ডা. আতাউর রহমান প্রমূখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অর্জন। আমার দাদা চরমোনাইর প্রতিষ্ঠাতা পীর সৈয়দ এছহাক রাহমাতুল্লাহি আলাইহি ও আমার বাবা সৈয়দ মুহাম্মাদ ফজলুল করীম রাহমাতুল্লাহি আলাইহি চরমোনাই মাদরাসায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরীতে পৃষ্টপোষকতা করেছেন। সংখ্যালঘু হিন্দু সমপ্রদায়ের নিরাপত্তার জন্য আশ্রয় দিয়েছেন। বিপদে পড়ে তাদেরকে ধর্মান্তরিত হবার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এই মুক্তিযুদ্ধকে পুঁজি করে কেউ ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে এদেশের মানুষ তা মেনে নিবে না।মুক্তিযুদ্ধের মহান লক্ষ্য সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ অতীতের ন্যায় আগামী দিনে ও থাকবে। ইনশাআল্লাহ।
এই এলাকার অন্যান্য সংবাদ দেখতে ক্লিক করুন: বরিশাল