রহমত নিউজ 07 November, 2022 08:16 PM
বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সংকট উত্তরণে কাজ করা ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন দুই বাংলাদেশি। ব্রিটিশ অলাভজনক সংস্থা অ্যাপলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন প্রকাশিত ওই তালিকায় স্থান পাওয়া দুইজন হলেন- বাংলাদেশি বংশদ্ভূত ব্রিটিশ বিজ্ঞানী ড. সালিমুল হক ও উপকূল নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করা বাংলাদেশি সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে প্রকাশিত তালিকায় জাতিসংঘের বর্তমান মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বিশ্বের একশ প্রভাবশালী জলবায়ু ব্যক্তির তালিকায় স্থান পেয়েছেন তারা। এ বছর ৬ থেকে ১৮ নভেম্বর মিশরের শার্ম আল-শেখে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২৭তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কপ২৭ বা কনফারেন্স অব পার্টিজ) উপলক্ষে তালিকাটি প্রকাশ করেছে উক্ত সংগঠন। কপ-২৭ হলো জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতিসংঘ ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশনের (ইউএনএফসিসি) কনফারেন্স অব দ্য পার্টির ২৭তম সভা। এই বার্ষিক সভাটি বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্দেশ্যে আলোচনায় বসতে ইউএনএফসিসি কনভেনশনের ১৯৮ জন সদস্যকে একত্রিত করে থাকে।
বৈঠকে, বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে পরিবেশগত প্রভাবের সঙ্গে অভিযোজন, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার থেকে সরে আসার মতো বিষয় নিয়ে আলোচনা করে থাকে। এছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আরো দুর্যোগ সহনশীল হবার ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহায়তার পথ চিহ্নিত করার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে এ বৈঠকে।
তালিকা প্রকাশকারী সংস্থা এপলিটিক্যাল ফাউন্ডেশন থেকে ড. সালিমুল হকের অবদান প্রসঙ্গে বলা হয়, ড. সালিমুল হক বাংলাদেশ সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেইঞ্জ অ্যান্ড ডেভলপমেন্টের (বিসিসিসিডি) পরিচালক। তিনি বৈশ্বিক জলবায়ু প্রশমন এবং অভিযোজন নিয়ে শক্ত ভূমিকার জন্য সুপরিচিত। তিনি জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃসরকার প্যানেলের প্রধান লেখক। মহাকাশ নিয়ে অসংখ্য প্রতিবেদন এবং নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন এবং বার্টনি পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের অভিযোজন বিজ্ঞানে অসামান্য অবদানের জন্য স্বীকৃতি পেয়েছে তার কাজ।
রফিকুল ইসলাম মন্টুর অবদান প্রসঙ্গে তালিকা প্রকাশকারী সংস্থা বলেছে, উপকূলীয় জলবায়ু সাংবাদিকতা এবং ফটোগ্রাফির জন্য বিশ্বব্যাপী সুপরিচিত বাংলাদেশী সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম মন্টু। তিনি বাংলাদেশের ডুবে যাওয়া উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর ওপর জলবায়ু পরিবর্তনের উদ্ভাসিত প্রভাব নথিভুক্ত করার জন্য নিখুঁত, অবিচ্ছিন্ন লিখে যাচ্ছেন এবং ফটোগ্রাফি করছেন। তার কাজ কপ-২৬ এ জলবায়ু অভিযোজনের জন্য জরুরি যোগাযোগের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল।