‘জিয়াউর রহমানের কথা শুনে কেউ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি’

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান বলেছেন, জিয়াউর রহমানের কথা শুনে কেউ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েনি। তার কথার সেই ক্রেডিবেলিটি ছিল না, সব ঘটনাই ঐতিহাসিক নয় কিংবা ঐতিহাসিকের মর্যাদা পায় না। সেই ঘটনাই ঐতিহাসিক মর্যাদা পায় যা ওই জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে উপমহাদেশের কৃতি সাংবাদিক ও লেখক সুখরঞ্জন দাশগুপ্তের বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে তিনি এসব কথা বলেন। কবি প্রাবন্ধিক মিনার মনসুরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জিনিয়াস পাবলিকেশন্সের প্রধান নির্বাহী মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

ড. মসিউর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর কথার ক্রেডিবেলিটি ছিল। এটা তিনি দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অর্জন করেছেন। তিনি কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি, তার চরিত্রের নানা গুণাবলী, ত্যাগ এবং লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করেছেন। বঙ্গবন্ধু সবসময় একটা কথা বলতেন জনগণের আস্থা ছাড়া রাজনীতি করা সম্ভব নয়, শুধু কয়েকজন বিপথগামী সেনা সদস্য বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী, এটা খুব একটা গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যা নয়। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড বাংলাদেশের চেতনাকে নিশ্চিহ্ন করার জন্য একটা বিরাট ষড়যন্ত্র। এতে বৃহৎ শক্তির প্রত্যক্ষ মদদ ছিল। বিভিন্ন ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ থেকে আমরা সেই বড় শক্তির ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা করতে পারি।

পশ্চিমবঙ্গের লেখক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুখরঞ্জন দাশগুপ্ত বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্র হয়েছিল কলকাতার আমেরিকান কনস্যুলেট হো চি মিন সরণিতে বসে। যদিও এই ষড়যন্ত্রের সদর দপ্তর ছিল ওয়াশিংটন ও রাওয়ালপিন্ডিতে। সরকারের বিরুদ্ধে এসব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের কথা বিভিন্ন সময়ে জানানো হলেও বঙ্গবন্ধু এসবে তেমন একটা গুরুত্ব দেননি। তিনি বিশ্বাস করেননি, কোনো বাঙালি তাকে হত্যা করতে পারে। এমনকি হত্যাকাণ্ডের আগের দিনও 'র' এর পক্ষ থেকে বঙ্গবন্ধুকে সতর্ক করা হয়েছিল।