মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয় : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতি বৃদ্ধির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কোনো হাত থাকে না। স্বাস্থ্যখাত চিকিৎসা দিতে পারে; কিন্তু মশা মারার কাজ স্বাস্থ্যখাতের নয়। ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথেই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

আজ (২৬ অক্টোবর) বুধবার সকালে শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের অডিটোরিয়াম হলে বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব ড. মুহ. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন,স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, জাতীয় অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, স্বাচিপ সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সলান, এবং গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউটের পরিচালক ডা. গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ। এর আগে, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রো লিভার হাসপাতাল ও ইন্সটিটিউট ভবনে অবস্থিত বহুতল মাল্টি পারপাস ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ার সাথে সাথে ডেঙ্গু রোগীদের জন্যে দ্রুততম সময়ে ঢাকার ডিএনসিসি হাসপাতালের এক হাজার বেড থেকে পাঁচশ’ এবং বিএসএমএমইউ এর নতুন নির্মিত ফিল্ড হাসপাতালের ৪০০ বেড প্রস্তুত করা হয়েছে। লাগলে আরো বৃদ্ধি করা হবে। তবে মশা কমাতে হবে, এবং একই সাথে দেশের মানুষকে মশা যাতে না কামড়াতে পারে সে বিষয়েও সচেতন থাকতে হবে। বাড়িতে রাতে ঘুমানোর আগে মশাড়ি লাগিয়ে ঘুমাতে হবে এবং বাসা বাড়ি পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামাত বর্তমান সরকারের কোনো উন্নয়নই চোখে দেখতে পায় না, তারা শুধু ক্ষমতায় যাবার জন্যই রাজনীতি করে। তারা দেশের মানুষের কল্যাণের কথা ভেবে রাজনীতি করেনা। ক্ষমতার লোভে তারা পেট্রোল দিয়ে মানুষ পুরে মারতেও দ্বিধা করেনা। তারা সামান্য অজুহাতেই মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চায়। বিএনপির আমলে বিদ্যুৎ মাঝে মাঝে আসতো, বিদ্যুৎ থাকতোই না। তারা অফিসে, ঘরে এবং কল কারখানায় কোথাও বিদ্যুৎ দিতে পারে নাই। অথচ সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের কারণে সাময়িক সময়ের জন্য কয়েক ঘন্টা লোডশেডিং নিয়েই বিরাট রাজনীতি শুরু করেছে বিএনপি।  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের ভালো থাকা নিয়ে ভাবেন; আর বিএনপি জামাত দেশকে লুটেপুটে খাবার জন্য ক্ষমতায় যেতে চায়। এগুলো দেশের মানুষ বোঝে। আর বোঝে বলেই, দেশের মানুষ শেখ হাসিনার সাথেই আছে। দেশের মানুষ আবারো শেখ হাসিনাকেই ক্ষমতায় এনে সেটাই প্রমাণ করে দেবে।