| |
               

মূল পাতা জাতীয় নির্বাচন কমিশন ইসির সাবেকদের কাছ থেকে যেসব পরামর্শ পেলো বর্তমান ইসি


ইসির সাবেকদের কাছ থেকে যেসব পরামর্শ পেলো বর্তমান ইসি


রহমত নিউজ     19 October, 2022     11:14 PM    


সাবেক নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক কর্মকর্তাদের পরামর্শ নিয়েছে বর্তমান নির্বাচন কমিশন-ইসি। আলোচনার জন্য ইসি’র পক্ষ থেকে আগেভাগে কোনও এজেন্ডা ঠিক করে দেওয়া ছিল না। তবে আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে সদ্য বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন। অনিয়মের কারণে পুরো ভোট বন্ধ করে দেওয়ার মতো নজিরবিহীন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন সাবেক নির্বাচন কমিশনাররা। তারা অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। অবশ্য সাবেক কর্মকর্তাদের কেউ কেউ পুরো ভোট বন্ধের সমালোচনাও করেছেন। মতবিনিময়ে জাতীয় পরিচয়পত্র-এনআইডি সরকারের হাতে চলে যাওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে । সাবেক ইসি ও ইসি কর্মকর্তাদের সবাই একবাক্যে এর বিরোধিতা করেছেন। এটি বাস্তবায়িত হলে নির্বাচন কমিশনকে সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে বলে তারা মন্তব্য করেছেন। এছাড়া বৈঠকে ইসি ও মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে দূরত্বের প্রসঙ্গও এসেছে। পরামর্শ এসেছে দূরত্ব ঘুচিয়ে মাঠ প্রশাসনকে পুরোপুরি ইসির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার। বুধবার (১৯ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে মতবিনিময়ে এসব তথ্য উঠে আসে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময়ে আমন্ত্রিত ২৮ জনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৪ জন।

মোহাম্মদ আব্দুর রউফ
সূত্র জানিয়েছে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি মোহাম্মদ আব্দুর রউফ তার বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রাখার ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে গোলমাল হলে নির্বাচন বন্ধ করতে হবে। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার রাজনীতিবিদদের সহযোগী। রাজনৈতিক সরকারের অধীনে নির্বাচনে জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারদের হাতজোড় করলেও তারা সরকারের কথাই শুনবে, নির্বাচন কমিশনের নয়।সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনেই থাকা দরকার।


কাজী রকিউদ্দীন আহমদ
ইসিকে সাহসের সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিউদ্দীন আহমদ বলেন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ভোটের করতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র ইসির অধীনে রাখার পক্ষে, জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে ভোটার তালিকা এবং ইভিএম- এর ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া জড়িত। জাতীয় পরিচয়পত্রেরে জন্য অনেকে ভোটার হয় এবং ভোট দেয়। এটি নির্বাচন কমিশনের অনুকূলেই রাখতে হবে। ইভিএম এর বিষয়ে মানুষকে বোঝাতে হবে। এটির পজিটিভ পাবলিসিটি দরকার। যারা সমালোচনা করে তাদের এ বিষয়ে ভালো করে বোঝাতে হবে।


কে এম নুরুল হুদা
গাইবান্ধার উপনির্বাচনে নির্বাচন কমিশন সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে বলে মতবিনিময় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু ও পরিচ্ছন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করেছে এবং সফলও হয়েছে। তবে হঠাৎ করে কেন গাইবান্ধায় এমন হলো এটি গবেষণার ও ভাবার বিষয়। এর পেছনে কোনও অসৎ উদ্দেশ্য আছে কিনা- খতিয়ে দেখা দরকার। মাঠ পর্যায়ের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে গ্যাপ দূর করতে হবে। তারা কমিশনের কথা শুনবে না, এটি ঠিক না। বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠানকে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না, কিন্তু বিদেশে তা নয়। বিদেশে কি রাতের বেলায় ভোটের বাক্স ভর্তি হয়, নাকি ভোটের বাক্স ভাঙা হয়। সুতরাং এদেশের সংস্কৃতির সঙ্গেই আমাদের তুলনা করতে হবে। ইভিএম এ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। এটিকে বাদ দেওয়া যাবে না।


এম সাখাওয়াত হোসেন
সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ও সেনাবাহিনী অনেক পরিশ্রম করেছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের হাতছাড়া করা ঠিক হবে না। এটি অন্য কোনও দফতরে গেলে ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে সমস্যা হবে। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হবে। ইভিএম নিয়ে রাজনৈতিক সমস্যা আছে, মতভেদ আছে। ব্যালটে নির্বাচন করে সিসিটিভি ব্যবহার করা উচিত। গাইবান্ধা-৫ আসনের নির্বাচন বন্ধের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যারা নির্বাচনি অনিয়মে জড়িত তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে কঠোর হতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের কনফিডেন্স বাড়াতে হবে। ইভিএমের ওপর এত বেশি জোর না নিয়ে সিসিটিভি’র ওপর গুরুত্ব বেশি দেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।


মো. শাহ নেওয়াজ
মতবিনিময়ে সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশন হতে চলে গেলে ইভিএম এ ভোটগ্রহণে সমস্যা হবে। ভোটার তালিকার ডাটাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নির্বাচন কমিশনের অনেক দক্ষ জনবল আছে, তাদের দিয়ে আগামী নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার নিয়োগ দিতে হবে। প্রয়োজনে কিছু আসনে জেলা প্রশাসক এবং কিছু আসনে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের ভাগ করে দায়িত্ব দেওয়া যেতে পারে। ইসি’র সঙ্গে সাম্প্রতিক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসকদের যেমন আচরণ দেখা গেছে, তেমন আচরণ কাম্য নয়।


কবিতা খানম
বৈঠকে সাবেক নির্বাচন কমিশনার কবিতা খানম জাতীয় পরিচয়পত্র প্রসঙ্গে বলেন, মায়ের কাছ থেকে সন্তান আলাদা করলে সন্তান ভালো থাকে না। এটি কমিশনের কাছে না থাকলে তার স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হবে। মাঠের সমন্বয় না থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। সিস্টেমের পেছনে যারা থাকে তাদের ব্যাড ইনটেনশন থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। বর্তমান সময়টা নির্বাচন কমিশনের জন্য দুঃসময়। নির্বাচন কমিশনের জনবলকে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে হবে। তাদের দিয়ে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে ক্ষমতা দিলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।


মো. রফিকুল ইসলাম
সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, পেশিশক্তি ও অর্থশক্তি স্বাধীনতার আগে থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে রয়ে গেছে, এই বাস্তবতাটাকে মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। নির্বাচনি অনিয়ম আগেও ছিল, এখনও আছে। এটি দূর হয়নি। এর পেছনে কারণ- শক্তি ও আর্থিক বলয়। মনোয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার কারণে অনেক জায়গায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে যায়। প্রচার প্রচারণায় কখনই লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না, এখনও নাই। প্রশাসনের স্বজনরা প্রার্থী হলে তারা নির্বাচন কমিশনের পক্ষে কাজ করে না, প্রভাবশালীদের পক্ষে কাজ করে। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের সন্তান। ইভিএম ও ভোটার তালিকা দুটিই এই ডাটা বেজের সঙ্গে সম্পর্কিত। এটি যদি কমিশন থেকে সরে যায়, তাহলে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনে বাধার মুখে পড়বে। একই দিনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়, ভিন্ন ভিন্ন দিনেই নির্বাচন করতে হবে। একই দিনে নির্বাচন হলে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ব্যবহার সম্ভব হবে কি না, ভেবে দেখতে হবে।


কর্মকর্তারা যা বললেন
সাবেক সচিব এম এম রেজা বলেন, যতই ভালো কাজ করবেন, সমালোচনা হবে। সমালোচনা দেখে থেমে যাওয়া যাবে না। বরিশালে জেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির যে আচরণ করেছে, এ বিষয়ে কমিশনকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

সাবেক সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার হিসেবে জেলা প্রশাসক ছাড়া অন্য কাউকে দায়িত্ব দিলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া কঠিন হবে। মাঠ প্রশাসনকে শক্তিশালী করে কাজ করতে হবে। মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের যে গ্যাপ আছে তা দূর করতে হবে। একটি ভোটকেন্দ্রেও যদি সুষ্ঠু ভোট হয়ে থাকে সেটি বন্ধ করা সঠিক হয়নি। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওপর ভরসা রাখতে হবে।


সাবেক সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার ব্যাপারে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, এই ডাটাবেজ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই প্রস্তুত হয়েছে এবং এটি নির্বাচন কমিশনেই নিরাপদ থাকবে। এটি অন্য কোথাও গেলে ম্যানিপুলেট হতে পারে, যা ভোটার তালিকাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ইভিএম এর পেছনে ইভিএম সমস্যা নয়, যারা কাজ করবে তাদের নির্বাচন কমিশনের অধীনে আনাই চ্যালেঞ্জ। গাইবান্ধার নির্বাচন বন্ধে নির্বাচন কমিশনের ব্যর্থতা নিয়েও সমালোচনা আছে। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ওউন করতে হবে, কারণ কমিশনের একার পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

সাবেক সচিব সিরাজুল ইসলাম বলেন, শুধু নির্বাচনের দিন নিয়ে কাজ করলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। এখন থেকেই সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে কাজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের দিয়ে নির্বাচন করা কোনও সমস্যাই না। ভোটের পরের পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার বিষয়েও নির্বাচন কমিশনকে বিবেচনায় নিতে হবে। গাইবান্ধা-৫ উপনির্বাচনে দায়িত্বে অবহেলায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তা তাদের জানাতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন বাস্তবসম্মত নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের কাছে না থাকলে ভোটার তালিকায় সমস্যা হবে। এটি ছেড়ে দেওয়া কোনও মতেই সঠিক হবে না। এটি ভোটার তালিকার শুদ্ধতার জন্য বিপদজনক হবে। কমিশনকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।


সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ নির্বাচন কমিশন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন বন্ধ করাকে সমর্থন করেন। তিনি বলেন, রিটার্নিং অফিসার নিয়োগে নির্বাচন কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। নির্বাচন কর্মকর্তার কোনও অনিয়মকে ছেড়ে দেওয়ার সুযোগ নেই এবং সুষ্ঠু নির্বাচনে তাদের সুরক্ষাও দিতে হবে। ইভিএম এর অন্তরালে যে আছে তাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে তবেই ইভিএম এ নির্বাচন করা যেতে পারে। তবে সেটি নির্বাচন কমিশনের পক্ষে সম্ভব নয়। ইভিএম এর গ্রহণযোগ্যতা একদম নেই। রাতে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভোটকেন্দ্রে অবস্থানের বিষয়টি পরিহার করতে হবে। ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাকে সুরক্ষা দিতে হবে।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব মোখলেসুর রহমান বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তারা অনেক সময় পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষাতই পান না। ইভিএম-এ ত্রুটি নাই, তবে ত্রুটি অন্য কোথাও আছে। জাতীয় সংসদের সব ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা সংযোগ অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব ভোটকেন্দ্রে সেনাবাহিনী মোতায়েন অত্যন্ত জরুরি।


অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী বলেন, গাইবান্ধা-৫ শূন্য আসনের উপনির্বাচন অনিয়মের অভিযোগে নির্বাচন বন্ধ করা সঠিক ও আইনসম্মত হয়েছে। নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, সেটি সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হবে না। পুরনো মামলায় প্রার্থীদের হয়রানি করা হয়, এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। জাতীয় পরিচয়পত্র নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের শ্রমেই তৈরি হয় এবং ভোটার তালিকার শুদ্ধতার জন্যই করা হয়েছে। এটি অন্য কোনও প্রতিষ্ঠানে গেলে ভোটার তালিকার শুদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন থেকে মনিটরিং খুবই ভালো উদ্যোগ। তবে তফসিল ঘোষণার পর থেকেই মনিটরিং করতে হবে। পুরো নির্বাচনি কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের পুরো নিয়ন্ত্রণে